প্রতীক বরাদ্দ ও আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগেই টাকা দিয়ে ভোট কেনা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোটের মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ আসন ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদপ্রার্থীদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নজর এড়াতে তৃতীয় ও চতুর্থ পক্ষের মাধ্যমে নানাভাবে ভোটার ও নিজ ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন এসব প্রার্থীরা। নগদ অর্থ আর প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে এখন থেকেই বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলছে ভোট বিক্রির মহোৎসব। কেউ কেউ চুক্তি করে সরে দাড়াচ্ছেন ভোটের মাঠ থেকেও। স্থানীয় বিশ্লেষকরা বলছেন, কালো টাকা ও পেশি শক্তির প্রভাব বন্ধ না করা গেলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হতে হবে এবং নজরদারি বাড়াতে হবে। বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে প্রাপ্ত তথ্য সংগ্রহ করে দেখা যায়, মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে কেউ কেউ করছে ঘরোয়া বৈঠক ও গণসংযোগ।

অনেকেই অলিতে-গলিতে দিয়েছেন একাধিক নির্বাচনী অফিস। কিছুদিন আগেও যারা নির্বাচনের মাঠে সরব ছিলো এখন অনেকেই নিরব হয়ে গিয়েছেন। কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, অনেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সরে দাঁড়িয়েছে ভোটের মাঠ থেকে। কোন কোন প্রার্থী আবার ওয়ার্ডের হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভোটের মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে চালাচ্ছেন নানা চেষ্টা। এসব অভিযোগ নিজেরা স্বীকার না করলেও এক প্রার্থী আঙুল তুলছেন আরেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। এদিকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ক্লাবগুলোতে আর্থিক অনুদান বিতরণের মাধ্যমেও ভোটারদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন অনেক প্রার্থী।

জুয়েল আহমেদ নামে মহানগরীর উত্তম এলাকার এক ভোটার বলেন, যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোট দিবো। টাকা তারাই দিতে চায়, যারা অযোগ্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে ওয়ার্ডের উন্নয়ন চাই। সবাই সচেতন না হলে উন্নয়ন বলে শব্দটি হারিয়ে যাবে। আরেক ভোটার শাহীন বলেন, ভোটের মাঠে অনেকেই টাকা উড়াচ্ছেন। আমাদের এদিকেই ১, ২, ৩, ১৬ ও ১০নং ওয়ার্ডে সবসময় যাতায়াত করি। এসব এলাকায় বেশ কিছু ভোটার, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আছে তারা শুনেছি ইতোমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে। এসব ঠিক নয়, যারা এসব করছেন বা করাচ্ছেন তারা দেশের শত্রু। এখন আর টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায় না। এটা প্রার্থীরাও বুঝেনা।

আর আমাদের মনে হচ্ছে, এবার রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের সে আস্থা রয়েছে। এদিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইসির যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে যা করা লাগে আমরা করবো। আমাদের গোয়েন্দা নজরদারিতে সকল প্রার্থীরাই রয়েছে। নির্বাচনে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইলে আমরা ব্যবস্থা নিবো। আর যেসব অভিযোগ উঠেছে তা আমরা দেখছি