আবদুল্লাহ আল মাসুদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে একজন সেকশন অফিসার হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, শনিবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে বিনোদপুর এলাকায় প্রায় ১০০-১৫০ জন লোক মাসুদকে আটক করে।

রাজশাহীতে স্থানীয় লোকজনের পিটুনিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদ (৩৫) নিহত হয়েছেন। রবিবার ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আবদুল্লাহ আল মাসুদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে একজন সেকশন অফিসার হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, শনিবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে বিনোদপুর এলাকায় প্রায় ১০০-১৫০ জন লোক মাসুদকে আটক করে।

৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে ক্ষুব্ধ জনতা তাকে মারধর করে।পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা থানার সামনে বিক্ষোভ করে মাসুদের বিচার দাবি করে। সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। রাত ১২টা ৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মাসুদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওসি।

এর আগে, থানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় মাসুদ সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বিনোদপুরে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলেন। "আমি অনেক আগেই ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি। ২০১৪ সালে আমার ডান পা কেটে ফেলা হয় এবং হাত-পায়ের টেন্ডন কেটে ফেলে।"উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একদল সন্ত্রাসী মাসুদের ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে এবং তার হাত-পায়ের টেন্ডন কেটে দেয়। তখনকার ছাত্রলীগ নেতারা এই হামলার জন্য বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরকে দায়ী করেছিলেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনায় মাসুদকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের স্টোর অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।