পুলিশ জানায়, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা একটি বিআরটিসি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-২২৪১) মঠবাড়িয়ার পাথরঘাটায় যাচ্ছিল। এসময় রাস্তার বিদ্যুৎ এর তারের নিচে ঝুলে থাকা ফাইবার অপটিক ক্যাবল তারে বাসটি জড়িয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশের বিদ্যুৎ খুটির সাথে সজরো ধাক্কা খায়।

ঝালকাঠির রাজাপুরে যাত্রীবাহী একটি বিআরটিসি বাসের সাথে বিদ্যুতের খুটির সাথে ধাক্কা লেগে বাসের সুপারভাইজার ও এক যাত্রীসহ দুই জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বাসের চালকসহ আরো ১৩ জন যাত্রী। গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার রাজাপুর-ভান্ডারিয়া সড়কের কানুদাসকাঠি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া ফায়ার সাভির্সের সদস্যরা উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলাস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। এ সময় সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা করে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। পুলিশ জানায়, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা একটি বিআরটিসি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-২২৪১) মঠবাড়িয়ার পাথরঘাটায় যাচ্ছিল। এসময় রাস্তার  বিদ্যুৎ এর তারের নিচে ঝুলে থাকা ফাইবার অপটিক ক্যাবল তারে বাসটি জড়িয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশের বিদ্যুৎ খুটির সাথে সজরো ধাক্কা খায়।

এতে বাসের সুপার ও চালকসহ ১৫ জন যাত্রী আহত হয়। খবর পেয়ে ভান্ডারিয়া ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি নেয়া হয়। সেখানে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহম্মেদ শফিক বাসের সুপারভাইজার মেহেদী ও পারভেজ নামে এক যাত্রীকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত দুই জন হলো বরিশাল সদরের জিয়া সড়কের বাসিন্দা আব্দুল রশিদ মৃধার ছেলে বাসের সুপারভাইজার মো. মেহেদী (৪৫), বাখেরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণকাঠি এলাকার আব্দুল আজিজ হাওলাদারের ছেলে মো. পারভেজ (৩৫)।

আহতরা হলো বরিশাল সদরের আব্দুল রাজ্জাকের ছেলে বাসের চালক মো. সাবু মোল্লা (৪০), বরগুনার বামনার মো. জিয়াউল হকের স্ত্রী সাথী (৩৩), কাকচিড়ার মো. শুক্কুরের স্ত্রী ইমু (২০), মো. আলমগীরের স্ত্রী মোমেনা (৪৫, পটুয়াখালির দুমকির মো. মনিরুল ইসলামের স্ত্রী তানজিলা (৩১), বরগুনা পাথরঘাটার কার্তিক দেকনাথের ছেলে অমল দেবনাথ (৫৮), মো. সামসুল হকের ছেলে মো. কবির মোল্লা (৩৫), অমল দেবনাথের স্ত্রী রিতা দেবনাথ (৩৫), বরিশাল রুপাতলীর আব্দুল ছত্তার হাওলাদারের ছেলে মো. মন্টু হাওলাদার (৫৫), ঝালকাঠির পিপলীতার কোব্বাত আলী খানের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (৫৭), আমুয়ার মো. মজিবুরের স্ত্রী জাহানারা বেগম, অজ্ঞাত স্থানের রাহুল (৪০), অজ্ঞান স্থানের মো. কাওসার হোসেন (৩২)। এদের মধ্যে ৪জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

৫জস ভর্তি রয়েছে। বাকি ৪জনকে বরিশাল উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। আহত বাসের যাত্রী মোমেনা, আলমগীর ও কবির জানায়, বরিশাল থেকে বাস ছাড়ার আগে থেকেই চালক ও হেলপারের মধ্যে জগড়া হয়। সেই থেকে চালক ক্ষেপে থাকায় বেপরোয়া গতিতে বাস চালায়। পথেও দুই বার বাস দুর্ঘটনার শিকার হওয়া উপক্রম হয়েছিল। এনিয়ে যাত্রীদের সাথে বাস চালকের কথা কাটাকাটি হয়। হঠাৎ কানুদাসকাঠি এলাকায় বাসটি বিদ্যুতের তারের সাথে জড়িয়ে বিদ্যুতের খুটিসহ গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় বলেন, লাশের সুরতহাল শেষে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশ ময়না তদন্ত পাঠাবে। বাসটি আমরা জব্দ করেছি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।