কিন্তু কয়লার দাম গত বছরের চেয়ে তুলনামূলক বেশী থাকায় কয়লার পরিবর্তে এখানকার ইট ভাঁটায় অবাধে বনের কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদ্য শুরু হওয়া ইট পোড়ানো মৌসুমে ইট ভাটা মালিকরা সামাজিক বনায়ন ও রিজার্ভ বনের মূল্যবান কাঠ রাত-দিন পুড়িয়ে ইট তৈরি করছেন।এর ফলে বন-পাহাড় ও বনজসম্পদ ধ্বংস হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে। ইট ভাটায় কাঠ পোড়ানো আইনতঃ নিষিদ্ধ হলেও আইনের তোয়াক্কা না করে প্রতিনিয়ত পোড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ।আর এতে পরোক্ষ ইন্ধন দিচ্ছে এক শ্রেণীর বন কর্মকর্তা।
স্থানীয় ও দুরবর্তী বিভিন্ন বন থেকে গাছচোর সিন্ডিকেট এসব গাছ কেটে ইট ভাটায় সরবরাহ করছে। ঈদগড,ঈদগাঁওর সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী রামু ও চকরিয়া উপজেলাসহ সুদুর লামা-আলী কদম থেকেও বনজ গাছ এনে এখানকার ইট ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে। গাছ পাচারকারী সিন্ডিকেট থেকে গাছ সরবরাহ নিয়ে ভাটা মালিকরা বিভিন্ন গোপন স্থানে এসব কাঠ মজুদ করে রাতের আধারে দ্রুতগামী ডাম্পারযোগে ভাটায় সরবরাহ করছে।কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কমকর্তা আনোয়ার হোসাইন সরকার জানান,ইট ভাটায় গাছ পোড়ানোর বিষয়টি জানা ছিলনা। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।