নারী কর্মীদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির এ নির্দেশনায় নারী কর্মীদের বেশকিছু কাজ নিষিদ্ধ করা করা হয়েছে। শনিবার (১১ মে) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নারী কর্মীদের জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির এ নির্দেশনায় নারী কর্মীদের বেশকিছু কাজ নিষিদ্ধ করা করা হয়েছে। শনিবার (১১ মে) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলোতে নারী কর্মীরা নকল নখ, চোখের পাপড়ি এবং নেইল পলিশ ব্যবহার করতে পারবেন না। খাদ্যে বিষক্রিয়া ঠেকাতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সৌদি সংবাদমাধ্যম আখবার২৪ জানিয়েছে, সৌদি আরবের পৌর, গ্রামবিষয়ক ও আবাসন মন্ত্রণালয় মাংস ও দুগ্ধজাত খাদ্যপণ্যের কাছে সুগন্ধি এবং আফটার শেভ দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গহনা, কানের দুল বা হাতঘড়িসহ যেসব অলঙ্কার ঢিলেঢালাভাবে পরা হয় সেগুলোও রেস্তোরাঁ এবং খাবারের দোকানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেননা এগুলোয় ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা জমে থাকতে পারে। যার ফলে এসব খাদ্যে বিষক্রিয়া সৃষ্টির উৎস হতে পারে। তবে কান ছিদ্র করে পরা গোলাকৃতির দুল এবং খোদাই করা নয় এমন ধরনের আংটি পরতে অসুবিধা নেই।

সৌদি আরব রেস্তোরাঁ ও খাবার সরবরাহকারী দোকানে বিশেষত খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের স্থানগুলোতে পরিচ্ছন্নতার সর্বোচ্চ মান বজায় রাখতে নারী কর্মীদের জন্য এ নির্দেশনা বাধ্যতামূলক করেছে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য এমন নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, খাবার তৈরি ও পরিবেশনে জড়িত কর্মীদের আরও কিছু অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। এগুলো হলো- ধূপমান, খাবার খাওয়া, হাঁচি দেওয়া এবং দস্তানা না পরে রান্নার আগে খাবার স্পর্শ করা।

সম্প্রতি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে একটি রেস্তোরাঁয় বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে ৭৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর সেখানে একজন মারা যান। এরপরই এমন নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অসুস্থদের মধ্যে বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৯ জন সৌদি আরবের নাগরিক। এছাড়া বাকিরা বিদেশি।

স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই ৭৫ জনের মধ্যে ৬৯ জন সৌদি আরবের নাগরিক ও অন্যরা বিদেশি।

সংবাদমাধ্যম জানায়, গত ২৫ এপ্রিল রিয়াদ কর্তৃপক্ষ স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় খাদ্যে বিষক্রিয়ার কয়েকটি ঘটনা শনাক্ত করে। পরে তদন্তে এজন্য খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হয়। এ ঘটনার পর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শাখা ছাড়াও রিয়াদ ও আল খারজ শহরের সবকটি শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়।