শার্শার পল্লীতে রোজাদার মেহমানরা ইফতার মাহফিলে যোগদান দিতে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন

শার্শার পল্লীতে রোজাদার মেহমানরা  ইফতার মাহফিলে যোগদান দিতে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন। বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল বিএনপির ইফতার মাহফিলে উপজেলার কন্যাদাহ গ্রামে মেহমানরা যাওয়ার সময় পথে সন্ত্রাসীরা হামলা করার প্রতিবাদে বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০ টার সময়  বেনাপোলে ৯২৫ ও ৮৯১ হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। মিছিলটি বেনাপোলের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নে কার্যালয়ের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
মিছিল শেষে শ্রমিকরা কন্যাদাহ গ্রামের কুখ্যাত মাদক সম্রাট ও চাঁদাবাজ রেজাউল রহমান, আশানুর রহমান আশা, কামাল হোসেন, ( সামলা গছি) আলাউদ্দিন আলা, নাসির উদ্দিন  গাইন, আব্বাস গাইন এর বিচারের দাবি তোলেন।
৯২৫ হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়ন এর শ্রমিক সরদার জামাল হোসেন বলেন, কন্যাদাহ গ্রামে বিএনপির শান্তিপুর্ন ইফতার মাহফিলে যাওয়ার সময় রোজাদারদের উপর আক্রমন করে রেজাউল গং। এতে আহত হয় সুমন হোসেন (২৪) পোড়াবাড়ি নারায়নপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম (২৩) একই গ্রামের পারভেজ (২২) নয়ন হোসেন (২০) । এর মধ্যে মারাত্নক আহত হয়ে হাসপাতালে মুত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে সুমন হোসেন। তিনি বলেন সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করলে তারা স্থল বন্দর সহ সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হবে।
শ্রমিক সরদার রনি ও হোসেন জামাল হোসেন বলেন, এসব সন্ত্রাসীরা আবার জাতিয়তাবাদি বিএনপির পরিচয় দেয়। এদের দলে কোন পদ পদবি নাই। এরা কন্যাদাহ গ্রামে সন্ত্রাসের অভয়রান্য তৈরী করেছে।
শ্রমিক সরদার তাজুল ইসলাম ও রেজাউল ইসলাম বলেন, কন্যাদাহ গ্রামের রেজাউল মুলত একজন মাদক ব্যবসায়ি। সে ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা মাদক কারবার করে। তাদের প্রত্যেকের নামে মাদক মামলাও রয়েছে। এরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে থাকে। বর্তমানে এরা কন্যাদাহ গ্রামে প্রায় দেড় কোটি টাকার চাঁদা দাবি করেছে বিভিন্ন পেশার মানুষের কাছে। রাতের আধারে এরা মাছ চাষীদের মাছ ধরে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। রেজাউল ঢাকায় থাকে। এবং বাড়ি এসে তার বাহিনী নিয়ে অপরাধ কর্মকান্ড করে থাকে। গত ১৭ মার্চ বেনাপোলের রোজাদার  হ্যান্ডলিং শ্রমিকরা উলাশি ইউনিয়নের কন্যাদাহ গ্রামে ইফতার অনুষ্ঠানে যোগদান দিতে যাওয়ার সময় ওই গ্রামে রেজাউল ও তার বাহিনী সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে বেশ কিছু লোক আহত হয়ে হাসাপাতালে চিকিৎসাধিন আছে। আমরা অনতি বিলম্বে এর বিচার দাবি করছি। প্রশাসন যদি এদের দ্রুত গ্রেফতার না করে তাহলে শ্রমিকদের পক্ষ থেকে কঠিন কর্মসুচি দেওয়া হবে।