লক্ষ্মীপুরে গৃহবধূ মিনু হত্যাকান্ডের ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো এহত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মামলার তদন্তের অগ্রগতি না হওয়া ও ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে এখন ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় ছাত্র-জনতা।এঘটনায় মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদি ইউনিয়নবাসীর ব্যানারে নন্দনপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিক্ষুব্দ ছাত্র-জনতা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে শতাধিক ছাত্র-জনতা অংশ নিয়ে এহত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।মানববন্ধনে বক্তব্যে রাখেন, কাজীর দীঘির পাড় সমাজকল্যাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজাম উদ্দিন, ইউনিয়ন যুবদল নেতা মাহমুদুর রহমান স্বপন, ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম, কিরণ, নন্দনপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব আবদুল কুদ্দুস, নিহত মিনু আক্তারের স্বামী মমিন, মেয়ে শিলা আক্তার ও ছেলে শিমুল হোসেন সহ অনেকে।এসময় বক্তারা বলেন, মিনু হত্যাকান্ডের ৪ মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত এহত্যাকান্ডের সাথে জড়িত কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পরেরদিনই মিনুর ছেলে শিমুল বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । কিন্ত পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণে নিহত মিনুর স্বামী, ছেলে-মেয়ে এক অজানা আতঙ্কে জীবনযাপন করছে। দ্রুত এ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান বক্তরা। এসময় পুলিশ প্রশাসনকে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটামও দেন বক্তারা।এদিকে মিনু হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) হাসান মোস্তফা স্বপন মুঠোফোনে বলেন, পুলিশ জোরালো ভাবে তদন্ত কার্যক্রম চালাচ্ছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। প্রতিটি হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ আন্তরিক।উল্লেখ্য: গত ১১ জুলাই রাত ৯ টার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের পশ্চিম গঙ্গাপুর গ্রামের একটি সুপারী বাগান থেকে মিনুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।