লক্ষ্মীপুর জেলা শহরে রাসায়নিক দ্রব্য ও কৃত্রিম রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে শিশুখাদ্য!!

শুধুমাত্র রাসায়নিক দ্রব্য এবং কৃত্রিম রং মিশ্রণে তৈরি করছে শিশুখাদ্যসহ জুস, আইসক্রিম, চকোলেট, আচার এবং রুচিসম্মত পন্য একদল অসাধু এবং মুনাফালোভী।

গত ১২ জানুয়ারি ২০২৫, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিএসটিআইয়ের কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে দুটি কারখানা সীলগালা করা হয়।

লক্ষ্মীপুরে দুটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে একটি অসাধু চক্র গোপনে কেমিক্যাল-রং দিয়ে তৈরি করছে নকল জুস, ট্যাং, আইসক্রিম,আচারসহ ইত্যাদি পন্য। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় এলাকাবাসী অবরুদ্ধ করে রাখে কারখানা দুইটি।

খবর পেয়ে রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৌরসভার (১নং ওয়ার্ড) সাহাপুর এলাকায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজুবুর রহমান ও বিএসটিআই’র কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা ফ্যাক্টরি দু'টি ঘিরে রাখে।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজুবুর রহমান
অভিযান পরিচালনা করে বেশকিছু যন্ত্রপাতি ও দ্রব্য সামগ্রী জব্দ করে এবং সীলগালা করে দেয় দু'টি ফ্যাক্টরির।

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র বাড়ি দুইটি ভাড়া নিয়ে অবৈধভাবে মূল উপাদান ছাড়াই শুধুমাত্র ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে নামিদামি ব্র্যান্ডের আদলে মোড়কজাত করে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নামে জুস, আচার, ট্যাং সহ কয়েক ধরনের নকল পণ্য অবাধে উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাব্বি নামের এক ব্যক্তি অভিযোগটি জানিয়েছেন বলে জানা যায়।

ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখা যায়, ফ্রুটি জুস, ট্যাং , আচার, ট্যাংমোড়ক। তাছাড়া বাচ্চাদের খাওয়ার আইচ ললি রোবট, মেয়াদহীন  জুস ও এগুলো তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, রাসায়নিক দ্রব্য এবং রং চোখে পড়ে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মজিবুর রহমান মর্নিং পোস্টকে জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে দুইটি ফ্যাক্টরি সীলগালা করার পাশাপাশি জব্দ  তালিকা করা হয়েছে। কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।