শনিবার এই ঘটনায় লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতকে ভর্তি করানো হয়। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, রুপসিপাড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বৈক্ষমঝিরিতে মারি মার্মা নামের এক নারী ৮ টি সেগুন গাছ ত্রিশ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী ইউছুপের নিকট।

বান্দরবানের লামায় বোনের বিক্রি করা গাছ কাটতে ভাই কর্তৃক বাঁধা দেয়াকে কেন্দ্র করে হ্লামংসাই নামের এক যুবক রক্তাক্ত জখম হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রুপসিপাড়া ইউনিয়নে। 

শনিবার এই ঘটনায় লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতকে ভর্তি করানো হয়। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, রুপসিপাড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড বৈক্ষমঝিরিতে মারি মার্মা নামের এক নারী ৮ টি সেগুন গাছ ত্রিশ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী ইউছুপের নিকট। 

(শনিবার) ৫ অক্টোবর সকালে  ক্রয়কৃত গাছ কাটার জন্য ইউছুপের লেভার স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজসহ তিনজন সেখানে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, লেভার ফিরোজ গাছ কাটতে চায়লে মারি মার্মার ভাই হ্লামংসাই মার্মা বাঁধা দেয়। এ সময় তার বোন বিক্রিত গাছটি কাটার জন্য বললে পরিবারের অন্যরাও বাঁধা দিতে থাকে। এর এক পর্যায়ে তারা নিজেরাই দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে লেভারের কাছ থেকে দা কেড়ে নিতে ধস্তাধস্তি শুরু করে। 

এ সময় অসতর্কতাবশত মারি মার্মার ভাইয়ের বাঁ কাঁধে দায়ের আঘাত লেগে কেটে যায়। অন্যদিকে ধস্তাধস্তিতে লেভার ফিরোজও আহত হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক সেখানকার দায়িত্ব প্রাপ্ত চেয়াররম্যান শাহ আলম (মেম্বার) স্থানীয়দের মাধ্যমে আহত হ্লামংসাইকে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। এর কিছুক্ষন পর লেভার ফিরোজ মাথা ও বুকে পিঠে ব্যথা নিয়ে একই হসপিটালে ভর্তি হয়। 

কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হ্লামংসাই মার্মার গায়ে দারালো কিছুর আঘাত আছে। অপরদিকে ফিরোজের গায়ে আঘাতের চিহ্ন নেই, তবে তার উচ্চ রক্ত চাপ আছে। দুইজনই সাধারণ চিকিৎসায় সুস্থ্য হয়ে যাবে। এ ব্যপারে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার উহ্লামং মার্মা জানান, 'বোন মারি মার্মা ও তার ভাই হ্লামংসাই মার্মার মধ্যে গাছগুলো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মালিকানা দ্বন্দ্ব চলে আসছে। 

আজ গাছগুলো কাটতে গেলে সেখানে মারি মার্মা ও হ্লামংসাই মার্মা তারা ভাই বোনে বাকবিতন্ডা দেয়। এক পর্যায়ে লেভার ফিরোজ থেকে দা কেড়ে নিতে গিয়ে হ্লামংসাই মার্মা একসিডেন্টলি জখম হয়। বিষয়টি আমরা স্থানীয়ভাবে মীমাংসার উদ্যােগ নিয়েছি।' এই মেম্বার আরো বলেন, 'এই ঘটনাকে কোনো মহল অন্যভাবে নেয়ার চেষ্টা করলে সেটা দু:খজনক হবে'। একই বক্তব্য দিয়ে দু:খ প্রকাশ করেন রুপসিপাড়া ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ আলম। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ফিরোজ ও ফারুক নামের দুইজনকে আটক করেছেন পুলিশ। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সুত্রে জানাগেছে।