খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বিগত প্রায় ৪৫ বছর যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে জীবনের উপার্জিত সব অর্থ শেষ করে এখন চক্ষু রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসভবনে অন্যের সাহায্য নিয়ে চলাফেরা করছেন।

নাটোরের লালপুর উপজেলার ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সাত্তার হিরু (৬০) অর্থের অভাবে চক্ষু রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্ধত্ব বরণ করতে যাচ্ছে কিন্ত চিকিৎসা করতে পারছেনা। বর্তমানে সে মারাত্মক অসুস্থ্য হয়ে অন্যের সাহায্য নিয়ে চলাফেরা করে। ১৯৭৯ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারন করে তিনি ৪৫ বছর যাবত ছাত্রলীগে যোগদানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে যাচ্ছেন । ১১ বছর গোপালপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। একটানা ১২ বছর লালপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও বিগত উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সদস্য পদে ছিলেন। তিনি এখন বর্তমান সরকার প্রধান দেশরত্ন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তার চোখের চিকিৎসার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বিগত প্রায় ৪৫ বছর যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে জীবনের উপার্জিত সব অর্থ শেষ করে এখন চক্ষু রোগে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাসভবনে অন্যের সাহায্য নিয়ে চলাফেরা করছেন। মোঃ আব্দুস সাত্তার হিরু তিন বছর আগে চক্ষু রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।

পরে সিরাজগন্জে ডাঃ আব্দুল মতিন চক্ষু হাসপাতালে চোখের অপারেশন করেও চোখে আর দেখতে পাচ্ছে না। তিনি জানান, পরে সিরাজগঞ্জের চোখের ডাক্তার মোঃ ইসরাফিলের পরামর্শ ঢাকায় ২০২০ সালে মার্চ মাসে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনুষ্টিটিউট একমাস ধরে চোখের চিকিৎসা শেষে আরেকটি চোখেও লেন্স বসিয়েও কোন কাজ হয়নি। ফলে আজ দুই বছর ধরে অন্ধত্ব জীবন নিয়ে অন্যের সাহায্য চলাফেরা করছেন। সরকারি ভাবে সাহায্য দিয়ে যদি উন্নত চিকিৎসা করা হয় তাহলে আবারও রাজনীতির মঞ্চে তার ছন্দ আকারে বক্তব্য শুনতে পেত। বর্তমানে তিনি অর্থের দিক থেকে নি:শ্ব হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসা করতে পারছেন না। চিকিৎসক তাকে বলেছে, তার চোখের চিকিৎসা করাতে হলে প্রচুর টাকা প্রয়োজন।। এ জন্য উন্নত চিকিৎসা করতে হবে। তার পরিবারের লোকজন জানায়, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে গিয়ে সে অবিবাহিতও থেকে গেছে।তিনি অর্থের অভাবে ঢাকা গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। মোঃ আব্দুস সাত্তার হিরু জানান, রাজনীতি করতে গিয়ে সব অর্থ ব্যয় করে এখন আমি নি:শ্ব হয়ে পড়েছি । পারিবারিক ভাবে আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত।

আমার ছোটভাই মরহুম তৌকির আহমেদ মিন্টু গোপালপুর পৌর ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আব্দুস সাত্তার হিরুর চিকিৎসা করানোর মত অর্থ ব্যয় করার অবস্থা এখন এ পরিবারের নেই। তার চোখের অবস্থা দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে। জীবনের ৪৫টি বছর যে দলের রাজনীতি করলো মোঃ আব্দুস সাত্তার হিরু সে দলের কেহ তাকে তার এ বিপদের দিনে তাকে দেখতে আসছেনা এবং তার খোঁজ ও কেহ নিচ্ছে না বলে তার পরিবারের সদস্যরা অভিমান ও অভিযোগ করে এ কথা বলেন। তিনি স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বিরোধীদলের বহু নির্যাতনের শিকার হয়ে জীবনের ৪৫ টি বছর যাবত নিজ অর্থ ব্যয় করে রাজনীতি করে গেছেন। তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে মনে প্রানে ভাল বেসে গেছেন। তিনি তার এ চোখের রোগের চিকিৎসার জন্য বর্তমান সরকার প্রধান ও দেশরত্ন,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একান্ত সহযোগিতা কামনা করছেন। তিনি আরও জানান অতিসত্বর চোখের উন্নত চিকিৎসা না করানো হলে চিরজীবনের জন্য অন্ধত্ব হয়ে যাবো। তিনি জানান রাজনীতি করতে গিয়ে আমি অবিবাহিত থেকে গিয়েছি ফলে অন্ধ হয়ে গেলে শেষ জীবনে আমাকে দেখার কেউ নাই। তাই চোখের চিকিৎসা করানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্রীর সহযোগিতা কামনা করছি।