প্রতি কেজি ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা ও প্রতি পিস ২০থেকে ২৫ টাকা বিক্রি করেছেন কৃষকেরা। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাজায়, বর্ষার পরপরই শীতে আগে আগস্ট মাসে ফুলকপির চারা রোপন করা হয়। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে। এবার জেলায় আগাম ২২০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ হয়েছে। স্বল্প সময়ে ভালো ফলন হওয়ার পাশাপাশি অধিক মুনাফা পাওয়ায় অনেক চাষিই এখন ফুলকপি চাষে ঝুঁকছেন।

লালমনিরহাটে বন্যামুক্ত ও ভারী বর্ষণ না থাকায় চলতি মৌসুমে ফুলকপি বাম্পার ফলন হয়েছে। শীতকালীন সবজি ফুলকপির আগাম ফলনে সাড়া ফেলেছেন জেলার সবজি চাষিরা। আগাম ফুলকপি জেলার সবজির চাহিদা পূরণ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হচ্ছে। লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী ৫ উপজেলায় আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন কৃষকরা। খরচের চেয়ে তিনগুণ লাভ পেয়ে খুশি ফুলকপি চাষিরা। ভোর থেকে  ফুলকপির বিক্রির ধুম পড়ে যায় গ্রাম গুলোতে। পাইকাররা আসেন বিভিন্ন জেলা থেকে। কৃষাণ কৃষাণী দলবেঁধে জমি থেকে ফুলকপি সংগ্রহ করে তা ওজনের পর বিক্রি হয়। ফুলকপি বহন করতে আসে অটোরিকশা, পিকাপ ও ট্রাক। জাকির হোসেন কৃষক বলেন, রোগ বালাই কম থাকায় আগাম জাতের ফুলপির চাষ আবাদের বাম্পার ফলন হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ফুলকপি অধিক মুনাফা অর্জন করছি। আগাম ফুলকপি পাওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদাও বেড়েছে। বর্তমানে বাজারমূল্য বেশী পাওয়ায় চাষিরাও লাভবান হচ্ছেন। প্রতি কেজি ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা ও প্রতি পিস ২০থেকে ২৫ টাকা বিক্রি করেছেন কৃষকেরা। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানাজায়, বর্ষার পরপরই শীতে আগে আগস্ট মাসে ফুলকপির চারা রোপন করা হয়। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাবে। এবার জেলায় আগাম ২২০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি  চাষাবাদ হয়েছে। স্বল্প সময়ে ভালো ফলন হওয়ার পাশাপাশি অধিক মুনাফা পাওয়ায়  অনেক চাষিই এখন ফুলকপি চাষে ঝুঁকছেন। ফুলকপি চাষী মহির উদ্দিন বলেন,সাড়ে পাঁচ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। খরচ হয়েছে দেড় লাখ আশা করি চার লক্ষ টাকার ফুলকপি বিক্রি করব। সবজি ব্যবসায়ী লিটন বলেন, আমরা প্রতিদিনই ট্রাকভর্তি করে কৃষকদের ফুলকপি দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠিয়ে থাকি। বর্তমানে ফুলকপির চাহিদা ব্যাপক। দাম ভালো। চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি বলেন, সবজি চাষের জন্য এই এলাকা বিখ্যাত। স্থানীয় বাজারে এখন আগাম সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাজারে ফুলকপির দামও ভালো। তাই এখানকার চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন। লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. মো. সাইখুল আরিফিন বলেন, লালমনিরহাট জেলা তিস্তা বিধত জেলা হলেও এর অধিকাংশ জমি উঁচু ও মাঝারি উচু জমিতে শাকসবজি আবাদের উপযোগী। মোটামুটি আগাম শাকসবজি আবাদ হয়েছে। বর্ষার পরপরই শীতের আগ মুহূর্তেই শাকসবজি তুলনামূলক কম থাকে। এই মুহূর্তে যারা আগাম সাবজি আবাদ করবে তারা নিঃসন্দেহে বাজারে ভালো দাম পাবে। সেই সাথে আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করতে এবং তা বাণিজ্যিকীকরণ করতে কৃষি বিভাগ সারা বছর সবজি চাষে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতা করে আসছেন।আগামী বছরে আবহাওয়া অনুকুল ও সার কীটনাশকের দাম কম এবং কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলে কৃষকরা আরও দ্বিগুণ আগাম জাতে সবজি ফলার আশা ব্যক্ত করেন।