আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ঃ ৩০ মিনিটে, বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃষ্টির জন্য ব্যবসায়ী ও কৃষকদের আয়োজনে এ নামাজ আদায় করা হয়। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা বড়খাতায় তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃষ্টির জন্য ব্যবসায়ী ও কৃষকদের আয়োজনে এ নামাজ আদায় করা হয় বড়খাতা উচ্চবিদ্যালয় মাঠের খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার (বৃষ্টির জন্য যে নামাজ পড়া হয়) নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০ঃ ৩০ মিনিটে, বড়খাতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃষ্টির জন্য ব্যবসায়ী ও কৃষকদের আয়োজনে এ নামাজ আদায় করা হয়। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা বড়খাতায় তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃষ্টির জন্য ব্যবসায়ী ও কৃষকদের আয়োজনে এ নামাজ আদায় করা হয় বড়খাতা উচ্চবিদ্যালয় মাঠের খোলা আকাশের নিচে ইসতিসকার (বৃষ্টির জন্য যে নামাজ পড়া হয়) নামাজ আদায় করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার ব্যবসায়ী ও কৃষকদের আয়োজনে মঙ্গলবার বিশেষ নামাজের জন্য সারাদিন মাইকিং করা হয়, আজ মঙ্গলবার সকালে নানা বয়সী মানুষ নামাজের জন্য মাঠে হাজির হন। নামাজের ইমাম প্রথমে মুসল্লিদের উদ্দেশে নিয়মকানুন বলেন। এরপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে দুই হাত তুলে প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাপপ্রবাহ ও খরা থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টি চেয়ে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করেন তারা।

সেখানে উপস্থিত স্থানীয় ব্যবসায়ী, লিটন ও কৃষক নূরুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিবাদল নেই। চাপ কলে পানি উঠছে না, ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে, তাই বৃষ্টি চেয়ে নামাজের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে সবাই দোয়া করেছেন।

নুরানি জামে মসজিদের খতিব হাফেজ কারী মাওলানা মুফতি নাজমুল হুদা সাদী বলেন, দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি গাছপালাসহ সবাই কষ্টে আছে। এমনকি স্কুল কলেজও বন্ধ রয়েছে তাই বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ পড়েছি।

এ বিশেষ নামাজ আদায় শেষে অনাবৃষ্টি থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ কারী মাওলানা মুফতি নাজমুল হুদা সাদী, খতিব নুরানি জামে মসজিদ, বড়খাতা।  

তিনি বলেন, কোরআন-হাসিদের আলোকে যতটুকু জানা গেছে, তা হলো মানুষের সৃষ্ট পাপের কারণেই মহান আল্লাহ এমন অনাবৃষ্টি ও খরা দেন। বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতেন। সে জন্য তারা মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে পাপের জন্য তওবা করে এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন।