পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে শহরে ফেরার পথে লালমনিরহাটে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার প্রতিনিধিসহ ৪জন সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের দিনাদুলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি আবদুর রব সুজন, বিডি নিউজ, যমুনা টিভি ও দৈনিক আজকের পত্রিকার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি আনিছুর রহমান লাডলা, এখন টিভির লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি মাহফুজুল ইসলাম বকুল ও যমুনা টিভির ভিডিওগ্রাফার আহসান হাবিব সম্রাট। আহতদের লালমনিরহাট সদর ১০০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আনিছুর রহমান লাডলার কপালে সেলাই দেওয়া হয়েছে এবং বকুলের হাতের জোড়া ফেটে গেছে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজার রহমানের বড় ছেলে সাহেদ আলী মন্ডলের নেতৃত্ব ২০/২২জনের এক দল লোক সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায় বলে আহত সাংবাদিকদের অভিযোগ।

দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি আবদুর রব সুজন জানান, গত ৭ আগস্ট দেউতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ও ওই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি সুলতান হোসেন মন্ডল প্রতিবেশী দুই সন্তানের জননী এক নারীকে ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনার খোঁজ খবর নিতে সরেজমিনে আমিসহ ৪জন সাংবাদিক মোটর সাইকেল যোগে পঞ্চগ্রামের দিনাদুলি এলাকায় গিয়ে সুলতানের বাবা ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজার রহমানের বাড়ীতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা শেষে শহরে ফেরত আসার সময় তার বাড়ীর এক থেকে দেড়শ গজ তার বাড়ীর অদুরে বড় ছেলে সাহেদ আলী মন্ডলের নেতৃত্বে ২০/২২জনের একটি দল হামলা চালায়। এ সময় ট্রাইপট, ক্যামেরা, হেলমেট ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আমরা শহরে এসে হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। এখন থানায় মামলা দেওয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজার রহমান বলেন, সাংবাদিকের উপর হামলাকারী আমার ছেলে হলে অবশ্যই তার বিচার হোক। তবে আমার সঙ্গে তাদের কোনো খারাপ আচরণ হয়নি। লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট মোঃ মতিয়ার রহমান বলেন, আমি আহতদের অবস্থা হাসপাতালে দেখে এসেছি। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতোমধ্যে ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক বসুনিয়াকে প্রধান করে তদন্ত টিম করে দেওয়া হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম বলেন, বিষয়টি পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা স্যার জ্ঞাত আছেন এবং খোঁজ খবর নিচ্ছেন। অভিযোগ পেলেই অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নেওয়া হবে।