লালমনিরহাটে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ০১/২০১৮ এর রেফ:জিআর নং.২৩৪/২০১৭(হাতি),হাতিবান্ধা পিএস নং ৩৪(০৮)২০১৭ এর মামলায় বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত প্রমানিত না হওয়ায় চলতি বছরের গত ১৯ ফেব্রুয়ারী মোঃ মেহেদী ওরফে মেহেদী হাসান,জামাল উদ্দিনসহ চারজনকে বেখসুর খালাস প্রদান করেন।

রায়ে খালাসপ্রাপ্ত জেলহাজতে থাকা মোঃ মেহেদী ওরফে মেহেদী হাসান ও জামাল উদ্দিন গত মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারী) জেল থেকে বের হওয়ার পরপরই জেলগেট থেকে নিখোঁজ হয়। েবৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে লালমনিরহাট সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সম্মেলন কক্ষে দুজনের নিখোঁজ হওয়া ও তাদের খোঁজ পাওয়ার আকুতি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তাদের পরিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে মোঃ মেহেদী ওরফে মেহেদী হাসানের বাবা আব্দুল লতিফ ও জামাল উদ্দিনের ভাই আবুল কালাম আজাদ লিখিত বক্তব্য উল্লেখ করে জানান, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ও রাস্ট্র বিরোধী মামলায় খালাসপ্রাপ্ত মোঃ মেহেদী ওরফে মেহেদী হাসান ও জামাল উদ্দিন লালমনিরহাট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে জেল গেট থেকে বের হওয়ার পর গেটের পূর্বে মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কালো গ্লাস সম্বলিত একটি সাদা মাইক্রোবাসে মাস্কপরিহিত ৮/৯ জন ব্যক্তি জোর করে দুজনকে ধরে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত দুই যুবকের পরিবারের লোকজন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বিষয়টি জেলা কারাগার কর্তৃপক্ষের নিকট জানতে চাইলে তারা আসামীরা ছাড়া পাবার পর কে কাকে কোথায় নিয়ে গেছে সেটি জানা নেই বলে জানায় নিখোঁজদের পরিবারকে। সংবাদ সম্মেলনে মোঃ মেহেদী ওরফে মেহেদী হাসানের বাবা বলেন,গত বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে লালমনিরহাট পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করলে আমার ছেলে মোঃ মেহেদী ওরফে মেহেদী হাসান কোথায় আছে সেটি জানেন না বলে পুলিশ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য; সন্ত্রাস বিরোধী আইন ০১/২০১৮ এর রেফ:জিআর নং.২৩৪/২০১৭(হাতি),হাতিবান্ধা পিএস নং ৩৪(০৮)২০১৭ এর মামলায় বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান রায় দেন। রায়ে মোট তিন মামলায় দুইজনকে ৪২ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত প্রমানিত না হওয়ায় চারজনকে বেখসুর খালাস দেয় বিজ্ঞ আদালত।খালাসপ্রাপ্ত চারজনের মধ্যে জেল থেকে বের হয়ে জেলগেট থেকেই নিখোঁজ হওয়া মোঃ মেহেদী ওরফে মেহেদী হাসান ও জামাল উদ্দিন ছিলেন।