লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম ডাকু (২১) নামে এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নে বিজিবি তিস্তা ব্যাটালিয়ন-২ (৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন) ঝালাঙ্গী বিজিবি ক্যাম্পের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলার এলাকাতে এ ঘটনা ঘটে।
ঐ নিহত আবুল কালাম পাটগ্রাম শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।
বিজিবি, পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টায় বাসা থেকে বেড় হয়ে কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী সহ শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলারের ওপারে ভারতীয় ১০০ গজ অভ্যন্তরের ভিতরে চোরাচালান ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায গরু আনতে যান এমন সময় ফেরার পথে আনুমানিক ভোর ৪ টায় বিএসএফের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে।
ঐ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবুল কালাম ডাকু গুরুতর আহত হলে তার সঙ্গীয়রা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন, এরপর তাকে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝালাংগী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েব সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে একজন যুবক নিহত হয়েছেন। পাটগ্রাম থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে।
এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদপত্র জানিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
নিহতের মা মমতা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করলো জানি না। আমি এই হত্যার বিচার চাই।
পাটগ্রাম থানার ওসি মো. আবু সাইদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদকে পাটগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়না তদন্তের জন্য লাশ লালমনিরহাট মর্গে প্রেরণ করা হয়। এঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।’