ঢাকার ধামরাইয়ে লোন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

ঢাকার ধামরাইয়ে লোন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে দুইজনের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার মুরাদ হোসেন কালা (৩৮), কুশুরা ইউনিয়নের শাসন কাশিমনগর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তাকে গতকাল রাতে টাঙ্গাইল  থেকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার অপর আসামী ফারুক হোসেন (৪৪) এখনও পলাতক। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গরুর ফার্ম স্থাপনের জন্য ৩০ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে অভিযুক্তরা প্রথমে ওই নারীর কাছ থেকে তিন লাখ টাকা আদায় করে। এরপর গত ১০ এপ্রিল ২০২৫ বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ১ নম্বর অভিযুক্ত মুরাদ হোসেন ভুক্তভোগী নারীকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ফারুক হোসেনের (২ নম্বর অভিযুক্ত) বাসায় নিয়ে যান। সেখানে একটি কক্ষে আটকে রেখে তাকে মারধর ও জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন মুরাদ।

ভুক্তভোগী নারী জানান, বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ফারুক হোসেন তার ভাড়া বাসায় ডেকে নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। সর্বশেষ গত ২৪ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে পাঠানটোলা এলাকায় ফারুক হোসেন তার ভাড়া বাসায় একা পেয়ে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন।

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী মুরাদ হোসেন ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন। গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে আমরা গতকাল রাতে তাকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি। মামলার অপর আসামীকেও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা চলমান।