ওই ঘটনায় ওয়ালটন কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক কালিয়াকৈর-নবীনগর মহাসড়কে বিক্ষোভ করে। তারা শতাধিক যানবাহনে ভাঙচুর চালায়।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় বাংলাদেশের শীর্ষ জায়ান্টব্র্যান্ড  ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানায় ইফতারের সময় শরবত খেয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গত রোববার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ইফতারে শরবত খেয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহতরা হলেন-সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালির ঝুকি মধ্যপাড়া গ্রামের বুদু মিয়ার ছেলে ফরিদ হোসেন (২৯), টাঙ্গাইল জেলার ভোক্তা পুড়ের বারবারাই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে বারেক মিয়া (৩১), একই জেলার গোশাইর জাত্মাই গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফ মিয়া(২৯) তিনজনই কারখানার পাউডার কোটিং সেকশনের অপারেটর ছিলেন।

ওই কারখানায় ইফতারে শরবত পান করে একাধিক  শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় কারখানার নিজস্ব চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিলেও তাদের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ অসুস্থ চারজনকে শেখ মুজিব ফজিলাতুন নেছা কেপিজি মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় ওয়ালটন কারখানার কয়েক হাজার শ্রমিক কালিয়াকৈর-নবীনগর মহাসড়কে বিক্ষোভ করে। তারা শতাধিক যানবাহনে ভাঙচুর চালায়। পরে কয়েকটি মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

শ্রমিকেরা কারখানার ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে কারখানার নিজস্ব আনসার বাহিনী কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি করে। শ্রমিকরা আবার সড়কে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় ওয়ালটন প্লাজা ও কারখানার গেটের সামনের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, কালিয়াকৈর থানা পুলিশের (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা আকবর আলী খান ও শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে উত্তেজিত শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করে।

ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক লিয়াকত হোসেন জানান, বিষয়টি কারখানা ও শ্রমিকের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। তিন শ্রমিকের মৃত্যুতে কারখানা কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, ইফতারির শরবত পান করে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি, বিষয়টি তদন্তের কাজ চলছে।