বক্তারা বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে স্টেডিয়াম থেকে বিসিবির কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া হঠকারী সিদ্ধান্ত। বিসিবির এই সিদ্ধান্ত বগুড়ারবাসীর জন্য লজ্জার।

বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম থেকে বিসিবির লোকবল প্রত্যাহার ও ভেন্যু বাতিল করার প্রতিবাদে গতকাল শনিবার বিকাল চারটার দিকে শহরের সাতমাথায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এই মানববন্ধনে জেলার সকল স্তরের মানুষ অংশগ্রহণ করেন। ক্রীড়া সংগঠক ও সমাজসেবী মাহবুব আলম জিয়নের সভাপতিত্বে ও ছাত্রনেতা মুকুল ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি সুলতান মাহমুদ খান রনি, বগুড়া প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি আব্দুস সালাম বাবু, ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক ক্রিকেটার তানভীর আলম রিমন, জেলা ক্রিকেটার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, যুব সংগঠক মোশারফ হোসেন বুলবুল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পরিমল প্রসাদ রাজ এবং ছাত্র সংগঠক আল মাহিদুল ইসলাম জয়।

বক্তারা বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে স্টেডিয়াম থেকে বিসিবির কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া হঠকারী সিদ্ধান্ত। বিসিবির এই সিদ্ধান্ত বগুড়ারবাসীর জন্য লজ্জার। বগুড়া থেকে মুশফিকুর রহিম, শফিউল সুহাস, তৌহিদ হৃদয়, তামিমের মতো খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে ।  এ ছাড়া খাদিজাতুল কোবরা, শারমিন সুলতানা, ঋতু মনিসহ আরও অনেক নারী ক্রিকেটারের উত্থানের পেছনে ভূমিকা রয়েছে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের।  সেই বগুড়ার চান্দু স্টেডিয়ামের প্রতি শুরু থেকে বিসিবি বিমাতাসুলভ আচরণ করে আসছে।  বগুড়ার স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক যেকোন ভেন্যুর মতোই মানসম্মত। সেখানে এই মাঠকে পরিচর্যা না করে উল্টো নতুন নতুন মাঠ তৈরি করে কোটি টাকা নষ্টের পায়তারা চলছে।

বক্তারা বলেন,যদি অবিলম্বে বগুড়ার চান্দু স্টেডিয়ামে বিসিবি তাদের কার্যক্রমসহ আন্তজার্তিক ভেন্যু চালু না করে তাহলে লংমার্চ সহ আরো কর্মসূচীর ঘোষনা করা হবে। এর আগে, গত ১ লা মার্চ বুধবার ঐ স্টেডিয়াম থেকে লোকবলসহ মালামাল গুটিয়ে নেওয়ার জন্য বিসিবি এক বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে স্টেডিয়ামের দায়িত্বে থাকা বিসিবির ১৭ জন কর্মকর্তাকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ঢাকায় রিপোর্ট করতে বলা হয়। কিন্তু  মালামাল গাড়িতে উঠাতে বিলম্ব হওয়ায় শনিবার রিপোর্ট করেছেন বলে জানা গেছে।