পানিতে ডুবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হুসাইন মোহাম্মদ আশিক মারা যাওয়ার ঘটনায় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ ওঠায় পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.শামীম আল আজাদকে ওএসডি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 
বুধবার (১৬ এপ্রিল) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। 

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালী এলাকায় পায়রা সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন পবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। এ সময় দোষী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অনকলে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. শামীম আল আজাদ এ প্রতিবেদককে জানান, চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি ছিল না। দীর্ঘক্ষণ পানিতে ডুবে থাকায় রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এসএম হেমায়েত জাহান বলেন,মন্ত্রণালয়ের নেওয়া সিদ্ধান্তকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বাগত জানায়। 
এসময় তিনি আরও বলেন,নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে পুরো পবিপ্রবি পরিবার মর্মামত। 
উল্লেখ্য,সোমবার বেলা ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সরকারি জনতা কলেজের পুকুরে কয়েকজন বন্ধু মিলে গোসল করতে যান পবিপ্রবির কৃষি অনুষদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হুসেইন মোহাম্মদ আশিক। সাতার না জানায় পানিতে ডুবে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে গুরুতর অবস্থায় পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক আশিককে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরে আশিকের মৃত্যুতে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তোলেন পবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি আইসিইউতে কোনো চিকিৎসক না থাকায় প্রথমে কোনো চিকিৎসাই দেওয়া হয়নি। আশিকের মৃত্যুতে চিকিৎসকের গাফিলতিকে দায়ী করেন তারা। এ ঘটনায় ওই দিনে হাসপাতালে দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।