ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের দেড় কি. মি. খানা-খন্দ ও কাঁদা-মাটি রাস্তা পাড়ি দিয়েই যেতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, এলাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে, এই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করে ৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা, একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি ঐতিহ্যবাহী পূর্ব সদরদী উচ্চ বিদ্যালয় একটি কওমী মাদ্রাসা একটি মহিলা মাদ্রাসা ৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি রয়েছে মসজিদ ও কবরস্থানে যাতায়াতের একমাত্র এই রাস্তাটির আজ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে, রিকশা ভ্যান থাক দূরের কথা পায়ে হেটে যাওয়ার মত অনুপযোগী হয়ে পড়ছে রাস্তাটি, এদিকে ৪ /৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় যাতায়াতের জন্য রয়েছে একটি মাত্র সংকীর্ণ মাটির রাস্তা। উপজেলা ও জেলা সদরে ও পার্শ্ববর্তী বাবলাতলা হাটে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলে পুরোপুরি কাঁদা-পানিতে ভরে থাকে। প্রায় দেড় কিলোমিটার এই কর্দমাক্ত মাটির রাস্তা পাড়ি দিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যেতে হয় এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এজন্য খুঁদে শিক্ষার্থীদের অনেক সময়ই কাঁদামাটিতে পড়ে বই খাতা, পোশাক নষ্ট হয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেতে চায়না।অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। যার কারনে শিক্ষার হার ও হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া ওই স্থানে রয়েছে ৪টি পাকা মসজিদ ও ২ টি কবরস্থান। কাঁদা মাটি ঠেলে মসজিদে যেতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মুসল্লীরা। এলাকার কারও মৃত্যুর পর মরদেহ দাফন করার জন্য কবরস্থানে যেতে ভোগান্তির কোন শেষ থাকেনা। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিন ধরে চলা চরম ভোগান্তি সত্যেও “এলাকার দুর্ভোগ” বলে খ্যাত জরাজীর্ণ রাস্তাটির বেহাল দশা নজরে আসেনি কোন জনপ্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের।
ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান বলেন রাস্তাটি তদবির করে এলজিডি থেকে পাশ করে এনেছিল,মোঃ জাহিদ শিকদার,,পিস ঢালাই হবে বলে কিন্তু এল জি ডি অফিসের সহকারী প্রকৌশল এর কারণে আইডি ভুল হয় যে ভুলের কারণে রাস্তাটি কাজ শুরু করেও বন্ধ হয়ে যায় । রাস্তাটির আইডি নাম্বার ৩২৯১০৫১০৪ আছে ভাঙ্গা উপজেলা এলজিডি অফিসারের গাফুলতির ও কাজে অবহেলার কারণে রাস্তাটি দীর্ঘদিন চলাচলের অনুপযোগ হয়ে পড়ে আছে। এদিকে জরাজীর্ণ রাস্তাটির সংস্কারের দাবীতে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এক মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা প্রস্তুতি চলছে। অবিলম্বে কাঁদাযুক্ত কাঁচা সড়কটি সংস্কার করে পাকাকরণের মাধ্যমে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার আহ্বান জানান।
আজ শনিবার ( ১৬ আগস্ট) কথা হয় উপজেলার চুমুরদি ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী উচ্চ বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত হেমায়েত হোসেন এর সাথে তিনি বলেন রাস্তাটি বেহাল চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে এবং এই বর্ষা মৌসুমে কোন ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয় উপস্থিত হতে চায় না, কথা হয় পূর্ব সদরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী সাইদা আশরাফ এর সাথে তিনি বলেন কোমলমতি ছোট ছোট বাচ্চারা ওই অঞ্চল থেকে বিদ্যালয়ে আসতে চায়না রাস্তাটি সংস্কার করা হলে শিক্ষার হার বাড়বে এবং বাচ্চারা নির্ভীক দিয়ে বিদ্যালয় আসতে পারবে।
জানা গেছে, উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের ৩/৪ নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আলী মেম্বারের বাড়ি থেকে হাওড়া মাঠ@ সদরদির ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে রাস্তা পর্যন্ত এই দেড় কিলোমিটার রাস্তাটির জন্য এলাকার মানুষের জনদুর্ভোগের শেষ নেই কৃষক তার ফসল নিয়ে হাটে বাজারে যেতে পারছে না,, এমন কি এলাকার মেয়েদের বিবাহের বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রাস্তাটি, সবচেয়ে বড় দুর্ভোগে পড়েন এলাকার গর্ভবতী মা বোনেরা, ভ্যান অটোরক্সা পর্যন্ত চলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে, সমান্য বৃষ্টিতেই কাঁদা-পানি হয়ে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
এলাকার শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রচণ্ড বৃষ্টির ফলে কাঁচা সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাদাপানি জমে থাকা পথ পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান রাস্তাটির ভয়াবহ চিত্র তারা বলেন রাস্তাটিতে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। জনদুর্ভোগের কথা তুলে ধরে প্রতিকারের কথা বলেন, বেলায়েত হোসেন , জনপ্রতিনিধি আতিয়ার রহমান মেম্বার, আলো হাওলাদার, সৈয়দ আলী মেম্বার, মোখলেছার রহমান, এসআই মহিউদ্দিন, নজরুল মাতুব্বর , আলম মিয়া প্রমুখ। তারা বলেন, এ রাস্তার উপর এলাকাবাসী নির্ভরশীল, এই এলাকার মানুষের চলাচলের দ্বিতীয় কোন রাস্তা নেই। এছাড়া বৃদ্ধ ও গর্ভবতী নারীদের চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় প্রতিনিয়ত। আমরা অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কারচাই রাস্তাটি যেন দ্রুত চলাচলের উপযোগী করে তোলেন। তারা আরোও বলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌছাতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কার করা না হলে আমরা সংবাদ সম্মেলন করব।