প্রতিবছরের মতো এ বছরও শীতে জবুথবু অবস্থা উত্তরাঞ্চলের জনজীবন ,রাতে হাড় কাপানো শীত আর কুয়াশায় বিপর্যস্ত এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ। সব থেকে বেশি কষ্টে থাকেন অসচ্ছল মানুষেরা। শীতার্ত এসব মানুষের পাশে দাঁড়ালো এসএসসি ১৯৮১ তম ব্যাচের বন্ধুরা। গতকাল রোববার সকালে রংপুর সদরের ময়নাকুঠি এবং মহানগরীর বকসা বৃদ্ধাশ্রমে একাশিয়ান বন্ধু ফোরাম এর উদ্যোগে পনেরশো কম্বল বিতরণ করা হয়। সুবিধাভোগী আমেনা বেগম বলেন,শীতোত খুব ঠান্ডা লাগে কম্বলটা পাইনু আজ রাইতোত ঠান্ডা লাগবে না।একাশিয়ান ফোরামকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। খলিল মিয়া নামে আরেক সুবিধাভোগী বলেন,অন্য কম্বলের তুলনায় এটার মান ভালো।অন্য কম্বলে শীত কাটে না। আয়োজকদের জন্য দোয়া করবো। অনুষ্টানের সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন,এই এলাকার মানুষ শীতে অনেক কষ্ট পান সেকারণে আমরা প্রতিবছর নানান ভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করি এবার একাশিয়ান ফোরামের পক্ষ থেকে কম্বল দেয়া হলো।সবাই অনেক আনন্দিত হয়েছেন।তাদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। একাশিয়ান বন্ধু ফোরামের সদস্য কৃষিবিদ সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, গ্রামের মানুষেরা শীতে অনেক কষ্ট করেন তাদের পাশে সকলকে থাকা উচিত।আমরা এর আগে কুড়িগ্রাম,পঞ্চগড় সহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় কম্বল বিতরণ করেছি।এবারও চেষ্টা করছি শীতার্ত এসব অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষিবিদ ও একাশিয়ান বন্ধু ফোরামের সদস্য ডক্টর ইসরাত হোসেন বলেন,এএসসি শিক্ষাবর্ষ ১৯৮১ সালের সকল বন্ধুদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গ্রুপ আছে।সেখানে আমরা সারা দেশের একাশিয়ান বন্ধুরা যুক্ত আছি।এদের মধ্যে অনেকেই ভালো পর্যায়ে আছেন তাদের মাধ্যমে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকি। এতে করে দেশের প্রতিটি কোণায় অস্বচ্ছল মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি। তিনি আরো বলেন, এর আগে উত্তরাঞ্চলে বিভিন্ন স্থানে আমরা কম্বল বিতরণ করেছি। আজ রংপুরের ময়নাকুঠি এলাকায় পনেরোশো কম্বল বিতরন করছি।এরপরে বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে অসহায় বাবা মায়ের মাঝে প্রায় পাঁচশো কম্বল বিতরণ করবো।আমাদের এমন কাজ চলমান থাকবে।অন্যান্যদের বলবো তারাও যেন এগিয়ে আসেন।এছাড়া ঢাকা থেকে আমাদের একাশিয়ান এডমিন প্যানেল সব তদারকি করছেন।