টাঙ্গাইলের গোপালপুরে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের, খাদ্য অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে "শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ" শ্লোগান লেখা বস্তায়, পৌর শহরের ২টি ডিলার পয়েন্টে গতকাল ওএমএস চাল বিক্রি উদ্বোধন করেছেন গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তুহিন হোসেন. এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। 

এনিয়ে এক ফেসবুক পোষ্টে সাবেক সংসদ সদস্য ছোট মনির এর পিএস মো. সাজন ইসলাম কমেন্টসে লিখেছেন, বস্তায়ই লেখা আছে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। 

ইসমাইল খান নামে একজন লিখেছেন, শেখের বেটির টা দিয়া মাতাব্বরি করনি যায়। 


এবিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ইউএনও মো. তুহিন হোসেন খানিকটা উত্তেজিত কন্ঠে বলেন, এটা আমরা জানি না, আপনি অধিদপ্তরে জিজ্ঞাসা করেন। কি জিজ্ঞাস করেন আপনি, এই প্রশ্ন করার কোন মানে আছে? অধিদপ্তরের হয়তো  গোডাউনে আগের  চাল ছিলো এটা হয়তোবা দিয়েছে। এটা আমরা দেখিও নাই , আপনারা দেখেছেন। আমি তো ৫কেজি মানুষকে ব্যাগে মেপে দিয়েছি। এটাতো প্যাকেট করাই থাকে, এমন তো না আমরা প্যাকেট করেছি।


উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সাইফুল ইসলাম তালুকদার লেলিন বলেন, এ বিষয়ে দেখামাত্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। খাদ্য বিভাগের লোক জানিয়েছে এগুলো আগের বস্তা, তাই কিছু বস্তায় এই লেখা রয়ে গিয়েছে।


গোপালপুর উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম রুবেল বলেন, এটা অবশ্যই অনুচিত একটা কাজ, যাতে এটা দ্রুত পরিবর্তন করা হয় কতৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি। এবং এটা কোন ক্রমেই উচিত নয়।


এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। 

উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম খান বলেন, আগের আনুমানিক ৯শত টন চালের বস্তায় এই শ্লোগান রয়েছে। এটা তো পরিবর্তন করা সম্ভব না ভাই, এখন আমরা কালি দিয়ে মুছে দিতে পারি। কালি দিলেও বোঝাও যায়, তবুও এটা প্রতিকি মোছা।

খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ মাহবুব রহমান স্বাক্ষরিত  এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানা যায়, খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্থাপনায় মজুদকৃত বস্তার গায়ে “শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ” শ্লোগান সম্বলিত লেখাটি অমোছনীয় কালির সাহায্যে ঢেকে ফেলে (মুছে ফেলে) গুদাম থেকে খাদ্যশস্য বিতরণের জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত গত ২৭ নভেম্বর তারিখে ১৩.০১.০০০০.০৮১.৩২.০০১.২৪.২৭৮৭ স্মারকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। ওই প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়েছে যারা এ আদেশ পালনে ব্যর্থ হবে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।