শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা ১১ নং বাঘবেড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে অনাস্থা ও অপসারণ চেয়ে সাংবাদিক সম্মেলণ করেছেন ইউপি সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার(২৬ ডিসেম্বর)সকালে পরিষদে এ সাংবাদিক সম্মেলণ করেন। সাংবাদিক সম্মেলণে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন প্যানেল চেয়ারম্যান নূরে আলম ও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য শেফালী খাতুন। লিখিত বক্তব্যে বলেন,১১ নং বাঘবেড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আবদুস সবুর চলতি বছরে টিসিবি কার্ড বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে ১৬৪৯ টি কার্ডেও মধ্যে ১০৪৯ টি কার্ড অর্থের বিনিময়ে ব্যাক্তিগত ভাবে বিতরণ করেন। বাকী ৬০০ কার্ড ১২ জন ইউপি সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেন। সরকারী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অর্থের বিনিময়ে রাণীগাঁও গ্রামের আমিজলের বাড়ী জনস্বাস্থ্যের সাবমার্সিবল পাম্প চারটি পর্যন্ত দিয়েছেন। এবং ব্যাংক কর্মকর্তা আক্তার আলীকে দিয়েছেন তিনি খোলা মাঠে স্থাপন করে সেচ কাজের জন্য ব্যাবহার করছেন। ইজিপি প্রকল্পে হতদরিদ্রদের বাদ দিয়ে আত্মীয় স্বজনদের শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। প্রকৃত পক্ষে তারা কেউ-ই কোন কাজে অংশ গ্রহণ করেনা কিন্তু তালিকাভুক্ত শ্রমিক হিসেবে তাদের বেতন চেয়ারম্যান নিজেই উত্তোলন করেন। বাঘবেড় বাজারের খাস জমি কাবিটা ও টিআর টাকায় ভরাট করে উমতা বাঘবেড় গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে সাগর আলীর নিকট হতে ৫০ হাজার টাকা ও একই গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে গোলাপের নিকট হতে ৩০ হাজার টাকা অবৈধ ভাবে আত্মসাৎ করেছেন। প্রতি ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ২৫ টি স্বাস্থ্য সম্মত ল্যাট্রিন প্রদান করার নিয়ম থাকলেও তিনি অর্থের বিনিময়ে একই ওয়ার্ডে অধিক পরিমাণ ল্যাট্রিণ প্রদান করেছেন । তাঁর লাগামহীন দূর্নীতি ,অর্থআত্মসাৎ ও অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক বরাবর অনাস্থা পত্র জমা দেওয়া হয়েছে। এ সময় সাত জন পুরুষ ও একজন মহিলা ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ উপস্তিত ছিলেন। বাঘবেড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আবদুস সবুর বলেন,আমার বিরোদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি পরিষদে যা কিছু বন্টন করেছি সকল মেম্বারদের পরামর্শক্রমে এবং রেজুলেশনের মাধ্যমে করেছি। আমি ২০ বছর ধরে চেয়ারম্যান হিসেবে আছি কোন অভিযোগ নাই। নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)ফারজানা আকতার ববি বলেন, মেম্বারদের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।