শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অপহরণের প্রায় ২০ দিন হতে চলছে উদ্ধার হয়নি অপহৃত মাদ্রসা ছাত্রী। গ্রেফতার হয়নি ঘটনার সাথে জড়িত কোন অপরাধী।

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অপহরণের প্রায় ২০ দিন হতে চলছে  উদ্ধার হয়নি অপহৃত   মাদ্রসা ছাত্রী। গ্রেফতার হয়নি ঘটনার সাথে জড়িত কোন অপরাধী। ওই মাদ্রাসা ছাত্রী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের উত্তর কান্দুলী গ্রামের দিনমজুরের কন্যা ও বাগেরভিটা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশী রাজু মিয়া ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে মাঝে মধ্যেই উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ওই মাদ্রাসা ছাত্রী ও  রাজু মিয়া  চাচা ভাতিজি সম্পর্ক। রাজু মিয়া ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে  প্রেমের প্রস্তাব দিত। এ বিষয়ে মাদ্রাসা ছাত্রী রাজু মিয়াকে অপমান ও করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজু মিয়া আরো উত্তেজিত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে গত ২২ ডিসেম্বর রবিবার বিকালে ওই মাদ্রাসা ছাত্রী বাড়ির উঠানে কাজ করার সময় রাজু মিয়া তার সহযোগী মাইনুল আইজল, জাহাঙ্গীরসহ আরো কয়েক জনের সহযোগিতায় ও মাদ্রাসা ছাত্রীকে বাড়ির সামন থেকে একটি সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে  নিয়ে যায়। এ বিষয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে ৪ জনকে আসামী করে ঝিনাইগাতী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।  কিন্তু   এখনও   উদ্ধার হয়নি  অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রী। পুলিশ অভিযুক্তদের হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে ৷ এ দিকে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে   মাদ্রাসা ছাত্রীর পরিবারকে ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন সহ মামলা তুলে নেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছেন বলে দাবী করা করে  মাদ্রাসা ছাত্রীর  পরিবার এখন  চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ তুলেন । মেয়েকে না পেয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন অপহৃত ছাত্রীর পরিবার। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ঝিনাইগাতী থানার এস আই মোহাম্মদ জামাল মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, অভিযোগের  বিষয়টি তার আগে অন্যএকজনে দেখেছেন। পরে ওসি সাহেব বিষয়টি দেখার জন্য তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ বিষয়ে আইনগত  ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।