রিফাত খান
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শেরপুরের ৯টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে। আজ রবিবার (১৬ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে ওইসব গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিটি জামায়াতে শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। জামাতে পুরুষের পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও নামাজ আদায় করেন।
জানা যায়, শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর ও দক্ষিণ চরখারচর, বামনেরচর, গাজীরখামার গিদ্দাপাড়া, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া, গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া, ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল ও শ্রীবরদী উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম খামারবাড়ীতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে শেরপুরের ওইসব গ্রামের একাংশ নিজেদের আহলে হাদিসপন্থী এবং সুরেশ্বর দরবার শরিফের ভক্ত বলে দাবি করে সৌদি আরব, আফগানিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদের নামাজ ও কুরবানী আদায় করে আসছেন।
গাজীরখামার ইউনিয়নের গিদ্দাপাড়া গ্রামের আব্দুল বাতেন বলেন, “আমরা অনেকদিন ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করি। আমরা রোজাও রাখি সৌদির সঙ্গে মিল রেখে। এ গ্রামের অনেক মানুষ একদিন আগেই রোজা রাখে ও ঈদ করে। নামাজ শেষ করে আমাদের ছেলে-মেয়েরা আনন্দ-উৎসব করে।”
হায়দার আলী নামে একজন বলেন, “বিষয়টা অনেকের কাছে খারাপ মনে হলেও আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই রোজা-ঈদ পালন করি।”
নকলা উপজেলার চরকৈয়া গ্রামের ইমাম মাওলানা সারোয়ার জাহান বলেন, “এলাকার অনেকে আফগানিস্তান-নাইজেরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগাম ঈদ পালন করেন। তবে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করি। নামাজের জামাত চলাকালীন প্রতিবছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা দেয়।