বগুড়ার শেরপুরের রহিমা নওশের আলী কলেজে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করার কারনে প্রতিহিংসা বশবর্তী হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তরিঘরি করে সভাপতি অপসারন করেন

বগুড়ার শেরপুরের রহিমা নওশের আলী কলেজে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করার কারনে প্রতিহিংসা বশবর্তী হয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তরিঘরি করে সভাপতি অপসারন করেন। অধ্যক্ষ প্রায় ৪০/৪৫ বিঘা ক্রয় করেছেন যার মূল্য কোটি কোটি টাকা। বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০ ঘটিকায় উপজেলার রহিমা নওশের আলী কলেজে গিয়ে জানা যায়, গত ১৩ এপ্রিল প্রজ্ঞাপনে শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উক্ত কলেজের সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম বাবলু এর পরিবর্তে মোঃ রনি হাসান কে সভাপতি উল্লেখ করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রভাষক জানান, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চাওয়ায় তড়িঘড়ি করে প্রচুর টাকার বিনিময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ নিজে গিয়ে প্রচুর টাকার বিনিময় সভাপতি পরিবর্তন করেছন। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ এসএম আসাদুজ্জামান জানান, সাবেক সভাপতি কলেজের বিল্ডিং, বিদ্যুৎ সহ নানাবিধ উন্নয়ন করেছেন। তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের কোনো অভিযোগ নাই। তার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতার অভাব রয়েছে। ভাইস প্রিন্সিপাল নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। এ ব্যাপারে উক্ত কলেজের প্রভাষক হাফিজুর রহমান জানান, কলেজের অধ্যক্ষের প্রচুর দূর্ণীতি আছে এবং শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগ আছে। তিনি কলেজের শিক্ষকদের নিকট থেকে ৫ টাকা হলেও ঘুস গ্রহন করেন। সাবেক সভাপতি কলেজের শুরুতে তারেক জিয়ার সুপারিসে এমপিও করেছেন এবং কলেজের অনেক উন্নয়ন করেছেন। তার বিরুদ্ধে দূর্ণীতির তদন্ত করার জন্য প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সভাপতিকে অপসারন করেছেন। সহকারী অধ্যাপক মিজানুর রহমান জানান, শহিদুল ইসলাম বাবলু সভাপতি হওয়ার পরে ২ লক্ষ টাকা অনুদান নিয়ে এসেছেন। তিনি সভাপতি হওয়ার আগে অধ্যক্ষ ৭ লক্ষ টাকার লোন দেখিয়েছিলেন পরে ৫০ হাজার টাকা সুদ সহ লোন পরিশোধ করেছেন এবং অধ্যক্ষ রেজিলেশনে সহি করে টাকা নিয়েছেন।সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য না। সহকারী অধ্যাপক এটিএম নুরুন্নবী জানান, একজন ভাইস প্রিন্সিপাল নিয়োগ প্রার্থী কে দিয়ে ফাইল ট্রান্সফার করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন বলে আমি মেন করি। সহকারী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম জানান, শহিদুল ইসলাম বাবলু কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে কলেজের এমপিও, কলেজের অবকাঠামো উন্নতি করেছেন। তিনি প্রতিহিংসার স্বীকার হয়েছেন বলে আমি মনে করি।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য না। সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম জানান, শহিদুল ইসলাম বাবলু কলেজের এমপিও, রাস্তাসহ রিসেন্টলী ২ লক্ষ টাকার অনুদান নিয়ে এসেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য না। প্রভাষক মাহমুদুর রহমান জানান, শহিদুল ইসলাম বাবলু কলেজের এমপিও থেকে শুরু করে তিনি কলেজের অনেক উন্নতি করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা আছে বলে আমার মনে হয় না। প্রভাষক আরিফাতুল জান্নাত জানান, শহিদুল ইসলাম বাবলু সভাপতি হয়ে আসার পরে আমরা প্রথম বারের মত বোনাস পেয়েছি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা নেই। শহিদুল ইসলাম বাবলু জানান, আমি অসুস্থ্য হয়ে ঢাকায় ইউনািইটেড হাসপাতালে আছি। কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিগত সতের বছরের আর্থিক অনিয়মের তদন্ত করতে চেয়েছি । তাই হয়ত অধ্যক্ষ প্রতিহিংসার বশবতী হয়ে এ কাজ করেছেন। শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু জানান, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আর্থিক অনয়িমের তদন্ত করতে চাওয়ায় তড়িঘড়ি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সভাপতি পরিবর্তন করেছেন। তিনি ২০০৪ সাল থেকে চাকুরী করছেন। কিভাবে তিনি ৪০/৪৫ বিঘা জমি ক্রয় করলেন ? যার মূল্য কোটি কোটি টাকা। আমি শহিদুল ইসলাম বাবলুর সভাপতি পদে পূনরায় বহাল রাখার দাবী করছি। অধ্যক্ষের আর্থিক অনিয়মের তদন্তের কারণে সভাপতি পরিবর্তণ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অতি দ্রুত শহিদুল ইসলাম বাবলুকে স্বপদে বহাল রাখার দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।