শেরপুরের নকলায় পিকআপ ভ্যান ও সিএনজির সংঘর্ষে ৪ জন নিহত ও ৩ জন গুরুতর আহতের ঘটনা ঘটেছে।বুধবার দুপুরের দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কের নকলা উপজেলার পাইস্কা বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ।
নিহতরা হলেন, নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার লাউদানা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছোট মেয়ে তায়েবা (১০), শেরপুর সদর উপজেলার পালাশিয়া এলাকার সুলতান মিয়ার ছেলে তাজেন মিয়া (১৫), ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কাজিয়া কান্দা এলাকার সুলতান মিয়ার স্ত্রী সুবিনা বেগম (২০) ও ফুলপুর উপজেলার সাহাপুর এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে আলাল উদ্দিন (৩৫)। আহতরা হলেন, পূর্বধলার লাউদানা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী উম্মে সালমা (৪০), বড় মেয়ে তোয়া ১৬) ও ছেলে আদনান ছাবিদ (৩)।জানা গেছে, নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লাউদানা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী উম্মে সালমা তার দুই মেয়ে ও শিশু ছেলেকে নিয়ে দুইদিন আগে শেরপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসে। বুধবার সিএনজি যোগে বাড়ি ফেরার পথে দুপুরের দিকে ময়মনসিংহ-শেরপুর আঞ্চলিক সড়কের নকলা উপজেলার পাইস্কা বাইপাস এলাকায় পৌঁছলে ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী একটি পিকআপ ভ্যান তাদের সিএনজিকে ধাক্কা দিলে সিএনজিটি ধুমড়ে মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তায়েবা ও তাজেন মিয়া মারা যায়। এতে আহত হন আরো ৫ জন। পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে সুবিনা বেগম ও আলাল উদ্দিন মারা যান। আহত বাকি ৩ জন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পিকআপ ভ্যানের চালক পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে সিএনজি ও পিকআপ ভ্যানটি উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও ওসি হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন।