নেত্রকোনায় শ্বশুরের বয়স্ক ভাতার কার্ড নিয়ে বোনের স্বামী আবুল হাসেমের (৬৪) দায়ের কুপে শ্যালক আবদুস সালাম (৫৫) নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দিনগত রাতে সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়নের রায়দুম বাগড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুস সালাম ওই গ্রামের মৃত রুমালি মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় শ্রমিক ছিলেন। আর অভিযুক্ত আবুল হাসেম একই গ্রামের মৃত আবদুল গনির ছেলে। তিনিও পেশায় শ্রমিক। তাদের উভয়ের বাড়ি পাশাপাশি। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রায়দুম বাগড়া গ্রামের বাসিন্দা রুমালি মিয়া বার্ধক্যজনিত কারণে গত ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মারা যান। তার মৃত্যুর পর নমিনি হিসেবে বড় মেয়ে রহিমা খাতুন তিন মাসের টাকা উত্তোলন করেন। পরে ওই টাকা রহিমার স্বামী আবুল হাসেম নিয়ে খরচ করেন।


এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মৃত রমালি মিয়ার ছেলে আবদুস সালামের সঙ্গে বোন জামাই আবুল হাসেমের বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে আবদুস সালাম কাজ করে বাড়ি ফিরেন। এ সময় বোন জামাই আবুল হাসেম দা দিয়ে বাঁশের বেতের কাজ করছিলেন। বয়স্কভাতার কার্ডের পুরাতন ঘটনা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আবুল হাসেম ক্ষিপ্ত হয়ে তার শ্যালকের বুকে দা দিয়ে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।


নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ মর্নিং পোস্ট  নিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আর অভিযুক্ত আবুল হাসেমকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত।