এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সংস্কার বিহীন নির্বাচনে নতুন স্বৈরশাসক তৈরি করবে। যেমনটা হয়েছিল তারেক রহমানের পরিণতি। তিনি মুসলেকা দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিণতি যেমন হয়েছিল। বিগত ১৫ বছর বিএনপি ও জামাতে ইসলামের নেতাদের পরিনীতি যেমন হয়েছিল আবার সংস্কার বিহীন নির্বাচন করলে আমাদেরও এমন পরিণতি বরণ করতে হবে। তাই আমরা দাবী করছি সংস্কার, বিচার তারপরে নির্বাচন। কিন্তু বিএনপি চাই শুধু নির্বাচন। যার মাধ্যমে জুলাই যুদ্ধের সার্থকতা আসবেনা।
তিনি আরো বলেন, গতকাল ভিপি নুরুল ইসলাম নূরের উপর হামলা আমাদের জন্য একটি সংকেত। একটা জিনিস লক্ষ্য করলে দেখবেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ৫ আগস্টের পরে সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি করলেও বর্তমান অন্তর্বর্তীন সরকার সেটা করছে না। যদি এই সংস্কার না করা হয় পুলিশ বাহিনী যেকোনো সরকারের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য থাকবে। কারণ পুলিশ বাহিনীতে শেখানো হয় বস যেটা বলে সেটাই সঠিক। বস এর কথা না শুনলে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান বদলিসহ সকল সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। তাই তারা বসের কথামতো লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করা ছাড়া তাদের কোন উপায় নেই। তাই অবশ্যই পুলিশের সংস্কার কমিশন গঠনের মাধ্যমে এই বাহিনীকে জবাবদিহিতার সাথে সঠিক কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরো বলেন, আমাকে অনেকেই এখন রাজাকার বলে, অথচ আমার জন্ম ১৯৯৮ সালে আর মুক্তিযোদ্ধা হয়েছিলো ১৯৭১ সালে। তাহলে আমি কিভাবে রাজাকার হলাম? আমরা দাবী করছি ১৯৭১ সালের ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী দলটি তাদের অবস্থান পরিষ্কার করার। তার সাথে সাথে এও দাবি করছি জামাত ইসলামের সাথে ঘটে যাওয়া সকল জুলুম, অন্যায়ের বিচারও হতে হবে।
৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় বিজয়নগর উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত উঠান বৈঠকে উপজেলার ছতরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলে মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বিজয়নগর উপজেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) প্রধান সমন্বয়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণ অঞ্চলের যুগ্ম সিনিয়র মুখ্য সংগঠক মোঃ আতাউল্লাহর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রধান সমন্বয়ক মোঃ আজিজুল ইসলাম লিটন, যুগ্ম সমন্বয়ক আকিব জাবেদ মুন্না, কেন্দ্রীয় নেতা জিহান মাহমুদ, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ, ডাঃ মাহমুদা মিতু সহ জেলা, উপজেলার নেতৃবৃন্দ।