পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ‘আসমানী’ কবিতার মতো করুণ বাস্তবতা যেন আজকের সুরীরচালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার এই স্কুলটি বর্তমানে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে গাছতলায় — খোলা আকাশের নিচে। ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে নির্মিত এই বিদ্যালয়ের পাকা ভবন আজ চরম ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনের ছাদ, দেয়াল, পিলার সবজায়গায় দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। বৃষ্টিতে শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে বই-খাতা ভিজে যায়। ২০ জুলাই শ্রেণিকক্ষে ছাদের অংশ ভেঙে পড়ে আহত হয় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইলমা ইসলাম। এরপর থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি। শিক্ষা কার্যক্রম চলছে গাছতলায় ও একটি টিনের ঘরে। কিন্তু বর্ষাকালে গাছতলাও নিরাপদ নয়, সামান্য বৃষ্টিতেই বন্ধ হয়ে যায় ক্লাস। বিদ্যালয়ের ৬ জন শিক্ষক ও ১২৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য কেবল দুটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। শিক্ষকরা বলছেন, শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখা এমন পরিবেশে প্রায় অসম্ভব। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিদ্যালয়ের পাশের মাধ্যমিক স্কুলে দুটি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার খোরশেদ আলম জানান, বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং নতুন ভবনের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এলজিআরডি উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুর রহমান বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুরীরচালাসহ আরও ৬২টি বিদ্যালয় তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ভবন নির্মাণ শুরু হবে।