সচিবালয়ের চুরি হওয়া নথি সন্দেহে বরিশালে দুই ট্রাক শিক্ষাগত নথি আটক

বরিশাল সদর উপজেলার কাগাশুরা বাজারে সন্দেহভাজন হিসেবে দুই ট্রাক পুরাতন নথি আটকে দেন স্থানীয়রা। জানা গেছে, শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদপ্তরের বাতিল হওয়া নথিগুলো পোড়ানোর জন্য অন্যত্র পাঠানো হচ্ছিল। তবে সচিবালয়ে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহের জন্ম দেয়।সন্দেহ ও আটকের প্রেক্ষাপট শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ট্রাক দুটি গ্রামে প্রবেশ করলে স্থানীয় যুবকরা তাদের অস্বাভাবিক গতিবিধি লক্ষ্য করেন। সন্দেহ হওয়ায় ট্রাক দুটি আটকে দেওয়া হয়।স্থানীয়দের ভূমিকা ও পুলিশের হস্তক্ষেপনথিগুলো পরীক্ষা করে স্থানীয়রা দেখতে পান, সেখানে বিভিন্ন টেন্ডারের কাগজপত্র রয়েছে। সন্দেহ আরও বাড়লে তারা পুলিশের সহযোগিতা চান। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নথিপত্র যাচাই করে এবং শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের ডেকে পাঠায়।কর্মকর্তাদের বক্তব্য ও জিজ্ঞাসাবাদ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে জানান, নথিগুলো নিয়ম মেনেই পোড়ানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে ট্রাক চালকেরা সঠিক প্রমাণপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় সন্দেহ দূর হয়নি।স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তারা স্থানীয়দের আশ্বস্ত করেন যে এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।সচেতনতার গুরুত্বসচিবালয়ের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার কারণে স্থানীয়রা সতর্ক ছিলেন এবং তাদের তৎপরতার ফলে এই ঘটনাটি প্রশাসনের নজরে আসে।নথিপত্রের ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা
শিক্ষাপ্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নথিগুলো পোড়ানোর জন্য সঠিক স্থানে পাঠানো হবে। তবে স্থানীয়দের আপত্তির কারণে প্রশাসনের নির্দেশে সেগুলো আপাতত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখা হয়েছে।স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়াএকজন স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান বলেন, “সন্ধ্যায় ট্রাক দুটি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় আমরা তাদের গতিরোধ করি এবং পুলিশকে খবর দিই। আমরা প্রশাসনের কাছে ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানতে চাই।প্রশাসনের অবস্থান কাউনিয়া থানা পুলিশ জানায়, তারা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে।ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষাএই ঘটনা প্রশাসনকে নিয়মিত কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ ও প্রমাণ-ভিত্তিক পরিচালনায় সতর্ক করবে। পাশাপাশি, স্থানীয়দের সচেতনতা ও দায়িত্বশীলতা একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সরকারি কার্যক্রমে জনগণের আস্থা বজায় রাখতে প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজন। এ ধরনের ঘটনাগুলো জনসচেতনতা এবং সুশাসনের যৌথ প্রয়াসের গুরুত্বকে তুলে ধরে।