কিংবদন্তি ভারতীয় উপমহাদেশের অস্কার পুরস্কার জয়ী চলচিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক ভিটা কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের মসুয়া গ্রামে আজ (১০/০৫/২০২৩ইং) বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে সাত দিন ব্যাপী বৈশাখী মেলা। মেলা উপলক্ষে এলাকায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে। সত্যজিৎ রায়ের পূর্ব পুরুষ হরি কিশোর রায় চৌধুরি প্রায় ২১০ বছর আগে শ্রী শ্রী কাল ভৈরব পূজা উপলক্ষে এ মেলার প্রচলন করে বলে জানা গেছে। প্রতি বছর বৈশাখের শেষ বুধবার এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ১৯৪৭ সালের আগে সত্যজিৎ রায়ের পরিবার ভারতে চলে যাবার পর থেকে এলাকারবাসী মেলাটি উৎযাপন করে আসছে।
এ বাড়িতে প্রায় ৪ একর ভুমি সহ পাশ্ববর্তী বিশাল এলাকা মেলার আয়োজন। প্রায় সহস্রাধিক স্টল বসে মেলায়। রকমারী কাঠের জিনিসপত্র খেলনা, মিষ্টি, তৈজসপত্র, কসমেটিকস সহ নানা বিধ স্টল রয়েছে। ওই বাড়িতে ১৮৬০ সালে জন্ম গ্রহণ করেন সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরি এবং ১৮৮৭ সালে জন্মগ্রহণ সত্যজিৎ রায়ের পিতা ছড়াকার সুকুমার রায়। দেশ বিভাগের পূর্বে উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরি সপরিবারে কলকাতা চলে যান। বর্তমানে বিশাল বাড়িটি সরকারের রাজস্ব বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের বাড়িটি একটি পর্যটন স্পট নির্মান করা হয়েছে। ২০১২ সালে ৫৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি রেস্ট হাউস সহ বাড়ির সীমানা প্রাচীর ও রাস্তাঘাট সংস্কার করা হয়।
তবে এটি এ বছর থাকার উপযোগী করা হয়েছে। কটিয়াদী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান মোর্নিং পোস্ট কে বলেন- মেলায় আগতদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সকল ব্যবস্থা থাকবে। এ বছর পঞ্চাশ হাজার টাকা নিলামে ডাক দেওয়া হয়েছে মেলার। বাড়ির রুমগুলো গত দুই মাস ধরে পরিপূর্ণভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই গেস্ট হাউজে স্টান্ডার্ড দুইটি কক্ষ রয়েছে। আগামী শুক্রবার-শনিবার দুই দিনই বুকিং হয়ে গেছে। প্রায় সব উইকেন্ডেই অগ্রীম বুকিং থাকে। রেস্ট হাইজের পরিবেশ ভালো রাখার স্বার্থে এটার বুকিং এখন পর্যন্ত আমি নিজেই দেখছি। প্রতিটি কক্ষে রাত যাপনের জন্য ৫০০ টাকা চার্জ ধরা হয়েছে। যেটা সবার জন্য উন্মুক্ত।