বর্ধিত সভা চলাকালীন হঠাৎ মন্ত্রীর এপিএস মিজান আমার উপর হামলা করে। আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। মন্ত্রীর সামনে এ হামলা করলেও তিনি কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। এ সময় এপিএসের লোকজন মারপিট করে আমাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়।

লালমনিরহাটের আদিতমারীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা। ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ। মন্ত্রীর সামনেই বর্ধিত সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামকে পিটালেন মিজান গ্রুপ। গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করলেন লাঞ্চিত নেতা নজরুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, সোমবার বিকেলে আদিতমারী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা ছিলো। উপজেলা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে বর্ধিত সভার আয়োজন করে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ।

বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে বর্ধিত সভা আরাম্ভ হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সদস্য সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মন্ত্রীপুত্র রাকিবুজ্জামান আহম্মেদ। বর্ধিত সভা চলাকালীন হঠাৎ মন্ত্রীর এপিএস মিজান আমার উপর হামলা করে। আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। মন্ত্রীর সামনে এ হামলা করলেও তিনি কোন ব্যাবস্থা নেয়নি। এ সময় এপিএসের লোকজন মারপিট করে আমাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়।

এ সময় তুমুল হট্টগোল বাঁধে। পরে পুলিশী হস্তক্ষেপে আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামকে বাহিরে নেয়া হয়। এতে তার মুজিব কোর্ট ছিঁড়ে দেয়া হয় এবং বেধম মারপিটও করা হয় বলে লাঞ্চিত নেতা নজরুল ইসলাম মৃধা অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষনিক উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে ঘটনার ব্রিফিং দেয়ায় পুনরায় ওই নেতাকর্মীরা তাকে ধাওয়া দিলে তিনি স্থানীয় পুলিশ সদস্যের বাসায় ঢুকে রক্ষা পান। লাঞ্চিত আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম মৃধা সাংবাদিকদের আরও বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দাওয়াত পেয়ে বর্ধিত সভায় মন্ত্রীর পিছনের আসনে বসেছিলাম। হঠাৎ মন্ত্রীর এপিএস মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে কতিপয় নেতাকর্মী মন্ত্রীর সামনে আমাকে পিটিয়ে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দিয়েছে। 

এ ব্যাপারে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর ব্যাক্তিগত সহকারী কর্মকর্তা (এপিএস) মিজানুর রহমান মিজান এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। বর্ধিত সভার সভাপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, কতিপয় নেতাকর্মী আপোষে নজরুল ইসলাম মৃধাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিয়েছে। তবে হলরুমে হট্টগোল হয়নি। হলে বাহিরে হতে পারে। এ ব্যাপারে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।