বরিশালের হিজলা গংগাপুর ঘাট থেকে লঞ্চযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়া নিখোঁজ মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১০ মার্চ হিজলা উপজেলার গঙ্গাপুর নামক ঘাট থেকে রাত ৮টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সম্রাট-২ নামক একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের কেবিন থেকে নিখোঁজ হন তারা।
নিহতরা হলেন, উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের ইন্দুরিয়া গ্রামের আ. রহমান মাঝির স্ত্রী তানিয়া বেগম (২৬) ও তার শিশুকন্যা রাবেয়া(৪)।
সম্রাট-২ লঞ্চ এর কেবিন বয় কামাল জানান, লঞ্চের ২১০ নাম্বার সিঙ্গেল কেবিনের যাত্রী ছিলেন তারা। রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টা পর্যন্ত গৃহবধূ তানিয়া বেগম ও শিশুকন্যা রাবেয়াকে কেবিনে দেখেছেন তিনি। ভোররাতে ঘুম থেকে উঠে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তাদের আর পাওয়া যায়নি। কেবিনে শুধুমাত্র একটি বোরকা ও তার পার্স পাওয়া গেছে।
১১/০৩/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানাধীন কুচাইপট্টি ইউনিয়নের অন্তর্গত মশুরগাঁও গ্রামের পাশ দিয়ে ঢাকা-চাঁদপুর-হিজলা-ভাষানচর গামী বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর শাখা নদীর পশ্চিম তীর সংলঘ্ন জোয়ার ভাটার কাঁদা-
বালুর উপরে একজন অজ্ঞাতনামা মহিলাকে স্থানীয় লোকজন পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯ জরুরী সেবার মাধ্যম পুলিশ কে অবহিত করেন।
১১/০৩/২০২৫ তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানাধীন কুচাইপট্টি ইউনিয়নের অন্তর্গত মশুরগাঁও গ্রামের পাশ দিয়ে ঢাকা-চাঁদপুর-হিজলা-ভাষানচর গামী বয়ে যাওয়া মেঘনা নদীর শাখা নদীর পশ্চিম তীর সংলঘ্ন জোয়ার ভাটার কাঁদা
বালুর উপরে একজন অজ্ঞাতনামা মহিলাকে স্থানীয় লোকজন পড়ে থাকতে দেখে ৯৯৯ জরুরী সেবার মাধ্যমে থানায় সংবাদ দিলে গোসাইরহট থানার এসআই মাহাবুবুর রহমান হামিদ সংগীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে যাইয়া ঘটনাস্থল কডন করে রাখে। তখন নদীতে থাকা জেলে রেজাউল ইসলাম (১৮), পিতাঃ রতন সরদার, ও সুজন ইসলাম, পিতাঃ রফিক মোল্লা, উভয় সাং-শৈয়লপাড়া, থানাঃ গোসাইরহাট, জেলাঃ শরীয়তপুরগণ নদীর মাঝখানে ৪ বছরের একটি মেয়ে শিশুর লাশ দেখতে পেয়ে নদীর পাড়ে শিশুর লাশটি নিয়ে আসলে থানা পুলিশ তাদের পরিচয় সনাক্ত কারার জন্য স্থানীয় জনগন, গ্রাম পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং আসেপাশের বিভিন্ন থানায় অজ্ঞাত লাশ পাওয়ার বিষয়টি মোবাইলের মাধ্যমে ছবি তুলিয়া তথ্যটি প্রেরণ করেন। লাশ দুইটি সনাক্তের জন্য সিআইডি ফরিদপুর ও পিবিআই, গোপালগঞ্জ কে অবহিত করেন। ঘটনাস্থল নদীতে হওয়ায় নৌ-পুলিশকে অত্র ঘটনার সংবাদ দেন। নরসিংহপুর নৌ-পুলিশ, ফাড়ির এসআই কামাল হোসেন ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করিয়া ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত তানিয়ার বাবা দুলাল হাওলাদার জানান,
হিজলা থানার ডিউটি অফিসার এর মাধ্যমে
আমি সংবাদ পাইয়া আমার ছেলে, ভাই ও আত্মীয়-স্বজনদের ঘটনার বিস্তারিত জানাইয়া শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মর্গে আসিয়া আমার মেয়ে তানিয়া আক্তার ও নাতিন রাবেয়া আক্তারকে সনাক্ত করি। ইং ১০/০৩/২০২৫ তারিখ রাত্র ০৯.০০ ঘটিকা হইতে ইং ১১/০৩/২০২৫ তারিখ সকাল ০৬.০০ ঘটিকার মধ্যে যেকোনো সময় তানিয়ার স্বামী, শশুর, আমার মেয়ে তানিয়া আক্তার (৩০) ও তার ঔরষজাত মেয়ে রাবেয়া আক্তার (৪) কে রাতের অন্ধকারে হত্যা করে, লাশ গুম করার জন্য সু-কৌশলে যাত্রীদের অগোচরে মেঘনা নদীর শাখা নদীতে ফেলে দেয়।
হিজলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম জানান লাশ গোসাইরহাটের সিমানায় পাওয়ার কারণে মামলা ঐ থানায় হবে ,হিজলা থানা পুলিশ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।