শিশুটির পিতা ওয়ার্ডে এসে জানতে চেয়েছিল কি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কেউ কিছু না বলাতে কথা কাটাকাটি শুরু হয়

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক,নার্স ও আয়াদের অবহেলায় প্রসুতির গর্ভে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।এ সময় উত্তেজিত রোগীর স্বজনদের সাথে হাসপাতাল স্টাফদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।এ ঘটনায় উত্তেজিত মৃত শিশুটির পিতা রনিকে হাসপাতালের একটি কক্ষে আটকে রেখে চিকিৎসক ও নার্সরা মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ শিশুটির পিতা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

গতকাল শুক্রবার ২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১ টার দিকে  মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। মৃত শিশুটির পিতার বাড়ি মুজিবনগর উপজেলার  দারিয়াপুর ইউনিয়নের গোপিনাথপুর গ্রামে।চিকিৎসক ও নার্সরা রোগীকে একদিন পূর্বেই হাসপাতাল থেকে রেফার্ড করা হয়েছে বললেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রেফার্ডের কোন কাগজ দেখাতে পারেনি।নার্স স্টেশনে কর্তব্যরত নার্সের কাছে রোগীর রেফার্ড সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চেলে তিনি মেহেরপুর সদর হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) ডা. সোনিয়া আহমেদের সাথে ফোনে কথা বলে সাংবাদিকদের সকালে আসতে বলেন। 

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এই ঘটনার সময় আমরা ওয়ার্ডেই ছিলাম। শিশুটির পিতা ওয়ার্ডে এসে জানতে চেয়েছিল কি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা কেউ কিছু না বলাতে কথা কাটাকাটি শুরু হয়, এক পর্যায়ে ডাক্তার ও নার্সরা তাকে ঘরে আটকে রেখে মারধর করে।পরে রনির স্ত্রীকে হাসপাতালের পাসেই অবস্থিত এ্যাপোলো নার্সিং হোম নামের একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করে শুক্রবার দিবাগত রাতে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় বের করা হয়।

অভিযুক্ত কর্তব্যরত নার্স শারমিন আক্তার বলেন, ‘আমাদের ম্যাডামের অনুমতি আছে বাচ্চার হার্ট বিট না পেলে আল্ট্রাসাউন্ড করাতে হবে। আল্ট্রাসাউন্ড রিপোর্ট যখন আমরা পাবো তখন ইমারজেন্সি ডাক্তারকে জানাবো।‘ বাচ্চা মারা গেলে দায়ভার কে নেবে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,’ বাচ্চা মারা গেলে কারো কিছু করার নেই। মেহেরপুর সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে জরুরী বিভাগে গোলোযোগের সৃষ্টি হয়েছে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে জানতে পেরে আমাদের টিম সেখানে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। মেহেরপুর ২৫০ সয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ জমির মোঃ হাসিবুস সাত্তার বলেন, ‘তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'