শনিবার সকাল ১০টায় সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত এক লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকার যেখানে এমন ঘটনা ঘটছে, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনছে। সরকারি কেউ এসব ঘটনায় যুক্ত নয়।
জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার সরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুবকর সরকার।
পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের চারপাশে বৃক্ষের সংখ্যা কমে যাওয়ায় উষ্ণতা বেড়ে গেছে। বায়ু দূষণ তীব্র হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষা করতে হলে সর্বস্তরের মানুষকে গাছ লাগাতে হবে। এটি আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষায় নেওয়া উদ্যোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অনেকেই এগিয়ে আসতে সাহস পান না। অথচ এটি আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। আমিনবাজার ও মাতুয়াইলের ল্যান্ডফিল যদি বন্ধ না হয়, তবে ঢাকার বাতাস দূষণমুক্ত হবে না।
তিনি আরও জানান, সরকার ঢাকার ২০টি খাল ও তুরাগ নদী দখলমুক্ত করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। তবে সময় স্বল্পতার কারণে একসঙ্গে সবখানে কাজ করা সম্ভব না হলেও, যেন এই কাজ দীর্ঘমেয়াদে এগিয়ে যায়, সেই লক্ষ্যেই কাজ শুরু হয়েছে।
সাভারের কর্ণপাড়া ও তুরাগ খালকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের আওতায় আনা হচ্ছে বলেও জানান উপদেষ্টা।
সাভারের চামড়া শিল্প নগরীর বিষয়ে তিনি বলেন, অতিরিক্ত দূষণের কারণে বিসিকের অধীন থেকে এই প্রকল্পকে সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করেন এবং নিজ হাতে একটি চারা রোপণ করে কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন।