মামলা সুত্রে জানা যায়- ভুক্তভোগী ওই নারী ধোপাকান্দি লাম-মীম হোটেলের থালা বাসন ধোয়ার কাজ করত এবং একই এলাকার আমজাদ ড্রাইভারের বাড়ীতে ভাড়া থাকত। হোটেলের কাজ শেষে প্রতিদিন রাতে বাসায় ফিরতেন তিনি। ২রা জুলাই রাতে ৯টার সময় সিরাজগঞ্জ রোডের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা বিপরিতে সিরাজুলের পানের দোকানের গলি দিয়ে ভাড়া বাসায় ফিরতেন। এই সুযোগে গত তিন মাস যাবত রাধানগর গ্রামের মৃত আবু তাহের আকন্দের ছেলে অভিযুক্ত আব্দুল কাদের (৫৫) নিয়মিত ওই নারীকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করত।
নির্যাতনের স্বীকারোক্তি দিয়ে ওই নির্যাতিতা নারী বলেন- ২৪ জুলাই সোমবার রাতে আনুমানিক রাত ৯ টার সময় হোটেল থেকে বাসায় যাওয়ার পথে, অভিযুক্ত আব্দুল কাদের সহ অজ্ঞাত আরো ২জন পিছন থেকে ঝাপটে ধরে আমাকে মুখ বেধে রাধানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে নিয়ে যায়। সেখানে আমায় কাদের ও তার সহযোগীরা মিলে জোরপুর্বক ধর্ষন চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আমি কোর্টে মামলা দায়ের করি। বর্তমানে নানা ভাবে আমায় মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানান মামলার বাদী উল্লেখিত বিধবা নারী।
এ-ঘটনায় গত ২৮ জুলাই বৃহস্পতিবার ওই নারী সিরাজগঞ্জ নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ দিলে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দেয় সিরাজগঞ্জ নারী ও নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত। অভিযুক্ত গ্রাম প্রধান আব্দুল কাদেরের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাধানগরের গ্রামের একাধিক ব্যাক্তিরা বলেন- কাদেরের চরিত্র অনেক আগে থেকেই খারাপ। এমন অভিযোগ বহুবার উঠেছে। গ্রামের প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই কারো। তাকে কেউ কিছুই করতে পারবেনা বলে জানান এক যুবক।
তিনি আরো জানান- নিজ বাসাতে প্রায় প্রতিরাতেই মহাসড়ক থেকে ভ্রাম্যমাণ পতিতা মহিলাদের ভাড়া করে এনে তাদের দিয়ে পতিতাবৃত্তি করাতো বলে উল্লেখ করেন তারা। সুমন নামের এক তৃতীয় লিঙ্গের ব্যাক্তি বলেন- তাকেও একই রাস্তায় একদিন আটকিয়ে এই কাদের অসামাজিক কর্মকান্ড করার চেষ্টা চালিয়েছেন। এ বিষয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে মোবাইলে লাইন কেটে দেন অভিযুক্ত আব্দুল কাদের। মামলাটি তদন্ত প্রক্রিয়াধীন আছে বলে মুঠো ফোনে মর্নিং পোস্টকে নিশ্চিত করেন, সিরাজগঞ্জের পিবিআইয়ের (ওসি) মো.গোলাম কিবরিয়া।