সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চৌবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গনেশ দত্তের বিরুদ্ধে ২৫ লক্ষ টাকা বানিজ্যর মাধ্যমে নৈশ পহরী ও পরিছন্নতা কর্মী নিয়োগ প্রধানের গুন্জন উঠেছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার গোপনে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক গোপনে তরিঘরি করে পরিক্ষা নিয়ে নিয়োগ পক্রিয়া শেষ করেন।

 নিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়ায় ক্ষেপলেন প্রধান শিক্ষক গনেশ দত্ত, তিনি শুধু নিয়োগ সংক্রান্ত বাণিজ্যেই থেমে নেই তার বিরুদ্ধে একাধিক নারি কেলেঙ্কারি ও অর্থ লুটপাট এর অভিযোগও রয়েছে। জানাযায়, নৈশ প্রহরি ও পরিছন্নতা কর্মী পদে  নাম মাত্র পরিক্ষা নিয়ে ডিজির প্রতিনিধি ও ম্যনেজিং কমিটির  সভাপতির সাথে সামঞ্জস্য করে নিজের পছন্দের পার্থীদের কে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগে দিতে নেওয়া হয়েছে মোটা অংকের উৎকোচ। গত শনিবার বিকেলে সরেজমিনে চৌবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বাইরে ভুড়িভোজ শেষে প্রধান শিক্ষক গনেশ দত্তের রুমে ডিজির প্রতিনিধি সহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন দরজা লাগিয়ে মিটিং করছেন। এসময়  সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডিজির প্রতিনিধি সহ সবাই সেখান থেকে দ্রুত চলে যান।

পরে সংবাদকর্মীরা প্রধান শিক্ষক নরেশ দত্তের কাছে মুঠোফোনে নিয়োগ সংক্রান্ত  তথ্য চাইলে তিনি জানান, সকাল থেকে অনেক সাংবাদিক ই এসেছে আবার চলেও গেছে আপনারা পরে এসে আমার সাথে গোপনে দেখা করবেন অথবা আমার সহকর্মী মানিক মাস্টারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল  তার সাথে যোগাযোগ করেন আমি তথ্য দিতে পারব না ।  সভাপতির নাম ও ডিজির প্রতিনিধির নাম জানতে চাইলেই তিনি  ক্ষিপ্ত হয়ে  ফোনের লাইন কেটে দেন। এ বিষয়ে মানিক মাস্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,  পরিক্ষা হয়েছে,  কামরুল  হাসান  নিরাপত্তা কর্মী ও আব্দুল মমিন পরিচ্ছন্নতা কর্মী  হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।  আমাকে মিডিয়া ম্যানেজের দায়িত্ব দিয়েছিল কিন্তু নিয়োগে কতটাকা নিয়েছে আমার জানা নেই।

আমাদের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি   মোবারক হোসেনের সাথে যোগাযোগ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই বলেন,  গনেশ দত্ত ও স্কুল কমিটির সভাপতি মোবারক হোসেন দুটি পদে নিয়োগের জন্য প্রায় ২৫ লক্ষ্যাধিক টাকা নিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের কে নিয়োগ দিয়েছে। এ বিষয়ে চৌবিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, মোবারক হোসেন এর সাথে একাধিকবার  মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল হক বলেন,  নিয়োগ সচ্ছ হয়েছে সেখানে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন প্রকার অর্থ নেওয়া হয়নি, যদি প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কোন প্রকার অর্থ নিয়ে থাকেন তদন্ত  সাপেক্ষে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন বলেন, নিয়োগের বিষয়টি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেখে,  গোপনে নিয়োগের কোন নিয়ম নেই যদি কেউ অভিযোগ দেয় তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।