সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের এক ভূমিহীন এর জমি এবং মালামালের লুটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় ভূমিহীনএবাদুল ইসলামের মা আমেনা বেগমের নামে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৯০ সালে ৫০ শতক জমি ৯৯ বছরের জন্য চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়।এরই সূত্র ধরে এবাদুল ইসলাম সরদারের পরিবার উক্ত জমি ভোগ দখল করে আসছিল।কিন্তু সম্প্রতি বড়দল মিশন কর্তৃপক্ষ তার পার্শ্ববর্তী একটি জমি সরকারের নিকট থেকে ইজারা নেয়। এরপর থেকে উভয়পক্ষ দ্বন্দ্ব সূত্রপাত হতে থাকে। সুত্রমতে জানা যায় বড়দল মিশন কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময় স্থানীয়দের জমির ভিতরে যেয়ে খুঁটি মেরে সীমানা নির্ধারণ করে থাকে, এত করে বিভিন্ন জমির মালিকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে পড়তে দেখা যায়। এরই সূত্র ধরে গত ১৭ই মে বড়দল ধর্মযাজক ফাদার জুয়েল, একই মিশনের মৃত ধীরেন্দ্রনাথ এর পুত্র আগস্টিন গাইন, মৃত ছয়লদ্দিন আচারির ছেলে যাকব আচারি, মৃতু সুরেন গায়েনের পুত্র ফ্রান্সিস গাইনের নেতৃত্বে প্রায় এক থেকে দেড়শ পুরুষ ও মহিলা তাদের দলবল নিয়ে এবাদুল ইসলাম সরদারের জমির সাত শতক জমি লুটপাট করে দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করে, মালামাল ধ্বংস এবং সেখানে রক্ষিত বাশ লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ইবাদুল ইসলাম নিরুপায় হয়ে ট্রিপল নাইনে ফোন দেয়। ৯৯৯এ ফোন দিলে আশাশুনি থানা থেকে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনা স্থল প্রদর্শন করে সরেজমিন প্রদর্শন শেষে উভয়পক্ষে শান্তি-শৃংখলার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে নির্দেশ দেন। ইবাদুল ইসলাম গতকাল দুপুরের পরেই একটি লিখিত অভিযোগ আশাশুনি থানা বরাবর প্রেরণ করে।অভিযোগ পেয়ে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ সরজমিন পরিদর্শন করেন।অভিযোগ সূত্রে জানা যায় এবাদুল ইসলামের জমি রক্ষার জন্য একটি সিভিল মামলা এবং শান্তির শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ১৪৫ধারায় আরেকটি মামলা রয় চলমান রয়েছে । আদালতের নিষেধ অমান্য করে আসামিরা জোরপূর্বক ইবাদুল ইসলামের ৭শতক জমির দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে বড়দল মিশনের ফাদার জুয়েল সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরপর থেকেই এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে যে কোন সময় একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে পারে বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী।