বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের জন্য সাতক্ষীরা জেলায় অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ২৮ জন প্রার্থী। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্সে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এই নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন হয় 'সেবার ব্রতে চাকরি' এই শ্লোগানকে সামনে রেখে, যেখানে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে। নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন এবং নির্বাচিত প্রার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপার বলেন, 'আমরা নিয়োগের প্রথম দিন থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ মেধা, যোগ্যতা ও অত্যন্ত স্বচ্ছতার ভিত্তিতে এই (টিআরসি) নিয়োগ প্রক্রিয়াটি শেষ করেছি। এখানে যারা চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে তারা সকলেই নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে স্থান পেয়েছে।' একই সাথে তিনি চূড়ান্ত ফলাফলে যে সকল প্রার্থী অকৃতকার্য হয়েছে তাদের পরবর্তীতে আবার প্রস্তুতি নিতে আহবান জানান।
নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি), যশোর এবং জনাব বিমল কৃষ্ণ মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট), রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়, খুলনা। এছাড়াও মোঃ মুকিত হাসান খাঁন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), সাতক্ষীরা এবং জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রার্থীরা তাদের সাফল্যে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন এবং অনেকেই তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাংলাদেশের অন্যান্য জেলায়ও একই স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাফল্য স্থানীয় সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং উজ্জীবিত করেছে নতুন প্রজন্মকে, যারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের স্বপ্ন দেখছে।