কোরবানির ঈদ ঘনিয়ে আসছে। আর এই ঈদকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে নওগাঁর সাপাহার উপজেলার সাপ্তাহিক পশুর হাটগুলো। উপজেলার কেন্দ্রীয় হাট ছাড়াও আশপাশের দিঘীরহাট ও উমইল হাটে উঠছে শত শত দেশীও গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া।
শনিবার সাপাহার সদর হাট ঘুরে দেখা গেছে, দুপুর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারি ও গৃহস্থরা তাদের লালন-পালন করা কোরবানিযোগ্য পশু নিয়ে হাটে আসতে শুরু করেন। হাটে ছিল পাইকার ও সাধারণ ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। গরুর পাশাপাশি ছাগলের চাহিদাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
স্থানীয় খামারি শহিদুল ইসলাম বলেন,“সারা বছর যত্ন করে গরু লালন পালন করেছি কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য। কিন্তু এ বছর গরুর খাবার ও ওষুধের দাম অনেক বেড়েছে, সেই তুলনায় এখনো গরুর দাম আশানুরূপ না।”
অন্য অনেক খামারিও একই অভিযোগ করেন, তারা বলছেন—খরচের তুলনায় বাজারে কাঙ্ক্ষিত মূল্য মিলছে না।
সাপাহার উপজেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, “পশুর হাটে ভেটেরিনারি টিম মোতায়েন রয়েছে। তারা নিয়মিত গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম রাব্বানি বলেন, “চলতি কোরবানি মৌসুমে সাপাহার উপজেলায় প্রায় ৫১হাজার ৮শত ২১ টি কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত হয়েছে, যার অধিকাংশই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত। হাটগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”
হাটে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, পশুর সংখ্যা ভালো দামও সহনশীল পর্যায়ে আছে। তবে ঈদের আরও কয়েক দিন বাকি থাকায় অনেকেই আশা করছেন, শেষ মুহূর্তে দাম আরও কিছুটা কমতে পারে।
একজন ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন,“দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে, তবে এখনো যাচাই-বাছাই করে ভালো পশু খুঁজছি। মনে হচ্ছে শেষ সময়ে একটু কম দামে ভালো পশু পাওয়া যাবে।”
বিক্রেতারা বলছেন, “ক্রেতা অনেক আসছেন, কিন্তু দাম নিয়ে আলোচনা বেশি, বিক্রি তুলনামূলক কম। তবে বিকেলের দিকে কেনাবেচা বাড়তে পারে বলে আশা করছি।”
হাটে প্রতারণা রোধে দুটি বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোগে জালনোট সনাক্তকরণ বুথ স্থাপন করা হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, “এখন মানুষ অনেক সচেতন। এখনো পর্যন্ত কোনো জাল নোট শনাক্ত হয়নি।