উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট এলাকায় সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে।

লক্ষীপুরের বশিকপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জেহাদিকে প্রধান আসামি করে, ১৮ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ  করা হয়েছে। এছাড়া  আরো ১৪/১৫ জন অজ্ঞাত রেখে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।  স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে দায়েরকৃত,চন্দ্রগঞ্জ থানার মামলা ১৭ ধারা ৩০২/৩৪ তাং ২৭.০৪.২০২৩ ইং। চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত দুলাল কৃঞ্চ মজুমদার, ২৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আসামিদের ব্যাপারে কোন তথ্য দিতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। নোমান ও রাকিবের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নিহত নোমানের বড় ভাই সহ, সবাই এ হত্যাকাণ্ডের জন্য আবুল কাশেম জেহাদী ও তার বাহিনীকে দায়ী করে আসছিল।

নোমান ও রাকিবের হত্যাকান্ডের ১০ মিনিট পর লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে, সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত নোমানের বড় ভাই বশিকপুর  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান এ সময় তিনি এ হত্যাকান্ডের জন্য সরাসরি বিগত ইউপির নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবুল কাশেম জেহাদকে দায়ী করেন। ওই সময়ে তিনি বলেন, বশিকপুরের গডফাদার এ হত্যাকান্ডের জন্য দায়ী। উল্লেখ্য, গত  ২৫ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট এলাকায় সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি (নোমান) প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। অপর নিহত রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা- একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নিহত নোমানের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান রয়েছে অপর নিহত রাকিবের স্ত্রী ও ৭ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে।