অতিবৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত তিন ফুট উঁচু জোয়ার।

রাজধানীসহ সারা দেশে আজও বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তবে বুধবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে আগামীকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত দেওয়া বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসে এই তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান স্বাক্ষরিত এ পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টি বেড়েছে। আগস্ট, সেপ্টেম্বর মাসে দেশে ঘূর্ণিঝড়ের কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বৃষ্টি কমলে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। এ দিকে সকাল থেকেই রাজধানীতে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলছে। অন্যদিকে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাগর কিছুটা উত্তাল থাকায় তিন নম্বর সর্তক সংকেত বহাল রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃষ্টি-জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রাম নগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধবৃষ্টি-জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রাম নগরীর সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ এরই মধ্যে অব্যাহত ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে শহরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। অতি বৃষ্টিতে তৈরি হওয়া জলাবদ্ধতার কারণে গত পাঁচ দিন ধরে পানির নিচে চট্টগ্রাম শহর। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতার কারণে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরীর সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আরও দুদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার কারণ সম্বন্ধে যা জানা যাচ্ছে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতার কারণ সম্বন্ধে যা জানা যাচ্ছে বন্দরনগরীতে ৩০ বছরের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ ৩০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের নতুন রেকর্ড হয়েছে গত রোববার। এ ছাড়া চলতি মাসে যেখানে বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা ছিল ৫৩০ দশমিক ৬ মিলিমিটার সেখানে প্রথম ছয় দিনেই হয়েছে পাঁচশ পঞ্চাশ মিলিমিটারের বেশি। অতিবৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত তিন ফুট উঁচু জোয়ার।

খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণের কারণে দীঘিনালার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাঙামাটির লংগদুর সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। পানিবন্ধী হয়ে পড়েছে প্রায় ছয় শতাধিক মানুষ। জেলায় ১৩৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন জায়গায় ২ শতাধিক স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে। এ ছাড়াও লংগদু, নানিয়াচর, রাঙামাটি সদরের কুতুকছড়ি নিম্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। রাঙামাটি শহরের পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঁচ শতাধিক লোক আশ্রয় নিয়েছে। এ দিকে পিরোজপুরে দুই থেকে তিন ফুট জোয়ারের কারণে প্রায় তিনশ মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে।