ফলে তাপমাত্রা কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। যা, উত্তরে অন্ধ্র প্রদেশ-দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুর ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের দুই-এক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে তাপমাত্রা কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

তবে ঢাকা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী ও মৌলভীবাজার জেলাসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানান, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। ড. আবুল কালাম মল্লিক আরও জানান, আবহাওয়া সূচকে এই শ্রাবণে বৃষ্টি কম হয়েছে ৫৯ ভাগ। গত বছরে তা ছিল ৫৭ শতাংশ।

নিকট অতীতের কয়েক বছরে, বর্ষা হারিয়েছে তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য। প্রশান্ত মহাসাগরে এল নিনোর প্রভাবে তাপমাত্রা বাড়ছে বঙ্গোপসাগরে। মৌসুমি বায়ু দুর্বল হওয়ায় কমছে বৃষ্টির পরিমাণ। আরব সাগর ও বঙ্গোপসাগর উপকূলে শুষ্ক হচ্ছে দিন। গবেষকেরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও এল নিনোর (গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের সমুদ্রগতির পর্যাবৃত্ত পরিবর্তন) প্রভাবে উত্তরের পর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলেও দেখা দেবে খরা। রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ বিভাগে গড় তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে বৃষ্টি হওয়ার কথা ৫২৪ মিলিমিটার, সেখানে আড়াইশ মিলিমিটারও হয়নি।