নাটোরের সিংড়ায় ফসলি বন্ধকি জমি চাষ করা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছে ৪ জন।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টার দিকে সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের কদমকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে গুরুতর আহতরা হলেন- কদমকুড়ি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে শাকিল ১৯, আবুল হোসেনের ছেলে এলাহি ২৮, ইব্রাহিম হোসেন ৩২, বিনাহার গ্রামের আব্দুল লতিফের স্ত্রী হনুফা ২৫, আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. ফরিদ ২৫, আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মাসুদ ২৭।গুরুতর আহতদের নাটোর সদর আধুনিক হাসপাতাল ও সিংড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নাটোর হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ইব্রাহিম হোসেন জানান, তিনি একই গ্রামের রতনের কাছ থেকে গত বছর ৩ লাখ টাকা দিয়ে দুই বিঘা জমি তিন বছর চাষাবাদের চুক্তিতে ফসলি বন্ধক নেন। এর মধ্যে এক বছর তিনি চাষাবাদ করেছেন। এবছর তিনি ওই জমিতে বোরো ধান চাষ করেন।
কিন্তু রতন ও তার লোকজন ফসলি বন্ধকি ওই জমির বাঁধ কেটে পানি বের করে দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। ইব্রাহিম হোসেন দাবি করেন গত রাতে রতনের সঙ্গে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রতন, মানিক, লিটন, শাহাদত, তহিদুলসহ একদল লোক তাদের ওপরে হামলা চালায়।
এ সময় ইব্রাহিমের আত্মীয়-স্বজন বাধা দিলে তাদের লক্ষ্য করে রতনের লোকজন গুলি চালায়।
এতে শাকিল, এলাহি, ইব্রাহিম এবং হনুফা গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১১ জন আহত হন। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম তাদের উদ্ধার করে নাটোর ও সিংড়া হাসপাতালে ভর্তি করে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ চারজনকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক জানান সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দাখিল করেননি।
তবে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।