শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি'র গৌরবের ৬৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার সকাল দশটায় পাবলিক লাইব্রেরি হল রুমে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসক ও পাবলিক লাইব্রেরি'র সভাপতি ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়ার সভাপতিত্বে মোখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব ( অবসরপ্রাপ্ত ) ড. মোহাম্মদ আলী খান।শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি'র সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. খলিল রহমান'র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব ( অবসরপ্রাপ্ত ) মোহাম্মদ ইকবাল, ধূর্জটি কুমার বসু,এ্যাড. হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরী, অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে, ইকবাল কাগজী, আবুল হোসেন,সুকেন্দু তালুকদার, মোরশেদ আলম,দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর পত্রিকার সম্পাদক পঙ্কজ দে, পৌর কলেজের অধ্যক্ষ সেরগুল আহমেদ, সিদ্ধার্থ আচার্য প্রমুখ।মোখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কবি ও গীতিকার ড. মোহাম্মদ আলী খান তার স্মৃতিময় অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন,একদিন ধর্মপাশা থেকে সুনামগঞ্জের উদ্যেশ্যে রওয়ানা করি।স্পিড বোটে রওয়ানা হই, সময়টা ছিল বিকেল বেলা।জামালগঞ্জ উপজেলার কাছাকাছি আসার পর দেখলাম যে,পাখিরা এসে নদীতে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। পাখি যখন মাছ নিয়ে যাচ্ছে, মাছ তখন লাফালাফি করছে।এই যে পাখি এবং মাছের অসাধারণ দৃশ্য দেখলাম।তখন,আমি বসে বসে একটি গান লিখলাম।সেই গানটি হচ্ছে, " সুরমা নদীর বাঁকে "। আমি সাধারণত গান লিখতাম না।কবিতা লিখতাম কিন্তু, সুনামগঞ্জের প্রকৃতি আমাকে গান লিখাতে বাধ্য করেছে। এরপর আরও কিছু গান লিখলাম। অনেক বাধা উপেক্ষা করে গানের সিডি করলাম।প্রায় ছয়মাস লেগেছে এই সিডি করতে।সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া আমাকে বললেন স্যার আপনাকে সুনামগঞ্জ আসতে হবে। আমি আপনাকে সুনামগঞ্জ আনবই।আমিও রাজি হয়ে গেলাম।গতকালকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে মোড়ক উন্মোচন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বাউল উৎসব হলো,প্রধান অতিথি সহ আমরা অনুষ্ঠানটি করলাম।তিনি বলেন, পারস্যের কবি শেখ সাদী মাটিকে প্রশ্ন করলেন,মাটি তুমি এত সুঘ্রাণ কোথায় পেলে? উত্তরে মাটি বললো, এটা আমার কোনো গুণ নয়,আমার উপরে গোলাপ গাছ ছিল। সেই গোলাপে সুঘ্রাণ মাটিতে রয়ে গেছে।সুনামগঞ্জের কথা যখন মনে পড়ে,আকাশ,মাটি, যত সংস্কৃতি সামনে আসে, মনে হয়,সুনামগঞ্জ সুবাসিত ফুলের মতো বিকশিত করে। এটাই হচ্ছে, সুনামগঞ্জের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য।