সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায়  জমি জবরদখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জয়নাল আবেদীন  আদালতে  অভিযোগ করেছেন।  গায়ের জোরে ওই জমি দখলে নিতে সীমানার খুঁটি উপরে ফেলেছে  বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে বিএনপি নেতা আলী আহমেদ দুলাল এর বিরুদ্ধে ।
আলী আহমেদ দুলালের দাবি, জয়নাল আবেদীনের  অভিযোগ সত্য নয়।
তিনি বলেন, ' আমি বিএনপির কোনো কমিটিতে নেই। 
আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা'। 
 উল্টো জয়নাল আবেদীন তার বোনের পাশের জমির দেড়শতক দখল করছেন বলে জানান আলী আহমেদ দুলাল মিয়া। 
এদিকে জয়নাল আবেদীনের অভিযোগের পর থানা পুলিশ সরেজমিনে গিয়ে ১৪৪ জারি করেছেন।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের নোয়াখালী সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে উত্তর বৌগলারখাড়া মৌজার এ জমি দখলের অভিযোগ করেছেন জয়নাল আবেদীন। 
এ বিষয়ে গত  রবিবার  সরেজমিনে গিয়ে একাধিক লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, জায়গার মালিক জয়নাল আবেদীন। তিনি ক্রয় সূত্রে মালিক। এমনকি আঠারো বছর ধরে এই জায়গা দখলে তার।
অথচ, হঠাৎ করে বিএনপি নেতা দাবি করে দুলাল মিয়া এই জায়গা দখলে নিতে চাচ্ছে। চাঁদা দাবি করছে।

তেহকিয়া গ্রামের নাছির মিয়া বলেন, আমরা জানি জয়নাল আবেদীন এই জায়গার মালিক।
আঠারো বছর আগে এই জায়গা তিনি কিনেছেন, মালিক হয়েছেন।
এখন, দুলাল নামে একজন বিএনপি নেতা দাবি করে, জায়গাটা দখল করতে চায়।জায়গার খুঁটি উপরে ফেলেছে।

আশিকুর রহমান বলেন, 
আমরা ২২ জনে এই কান্দার জায়গা ক্রয় সূত্রে মালিক।
আমরা ২২ জনের উপস্থিতিতে জয়নাল আবেদীনকে চার শতক জমি মেপে দিয়েছি।
এরপর জয়নাল আবেদীন তার জায়গায় খুঁটি দিয়ে রেখেছে।
যখন,জায়গা মাপা হয়েছে, তখন দুলালও ছিল। অথচ, এখন সে বিএনপির প্রভাব খাটায়।

তেহকিয়া গ্রামের রিপন মিয়া বলেন,
এই জায়গা আঠারো বছর আগে জয়নাল আবেদীন একজনের কাছ থেকে কিনেছেন, এটাই জানি।
এখন,দুলাল নামে একজন এসে এই জায়গার খুঁটি উপরে ফেলেছে।বিএনপির ক্ষমতা দেখাচ্ছে এবং চাঁদা দাবি করে।
জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি ২০০৭ সাল থেকে এই জমির মালিক।  আমি কারো জমি দখলে যাইনি। আমার জায়গা একদাগে এবং তাদের জায়গা আরেক দাগে। তারা জোরপূর্বক আমার জমিতে এসে খুঁটি উপড়ে ফেলেছে। আমার সাথে তারা কোনো কথাই বলেনি। এখন যা বলছে বা আমার উপর যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা সকলে মিলে তাদের জমি আলাদা করে দিয়েছি। তারা এভাবে খুঁটি উপড়ে ফেলতে পারেন না। আমিই তাদের বলেছি, যদি তোমাদের কাগজ থাকে তাহলে দু’জন মুরব্বি নিয়ে বসে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান দেই। কিন্তু তারা বসতে চায় না। জোর দেখানোর চেষ্টা করে। তাদের জমি আমাদের এদিকে এসে থাকলে আমাকে বলবে আমি খুঁচি উপরে সে জমি বের করে দেবা সে নিজে কেনো আইন হাতে তুলে নিবে? এখন আমি আইনের দ্বারস্থ হয়েছি। আইন যা করে সে অনুযায়ী আমি এগুবো।

আলী আহমদ দুলাল বলেন, আমরা ভট মেম্বার সাহেব ও তার ভাইদের কাছ থেকে জমি কিনেছি। ক্রয় করা জমিতে এসে কীভাবে তারা খুঁটি পুঁততে পারে? আমরা বার বার বলেছি, আপনাদের জায়গার কাগজ থাকলে তা নিয়ে আসুন। বসে আলোচনা করি। তারা কাগজ নিয়ে আসে না। আমি প্রবাসে ছিলাম। সে সুযোগে খুঁটি পুঁতেছিলো। এখন বার বার অনুরোধ করেছি। আমাদের জায়গা থেকে খুঁটি তুলে নিতে। কিন্তু তা তারা কর্ণপাতই করেন নি। পরে তাদের সাথে আলোচনা করে এবং গ্রামের মানুষদের উপস্থিতিতেই আমি খুঁটি তুলেছি। 

শান্তিগঞ্জ থানার ওসি আকরাম আলী বলেন, ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতার সৃষ্টি হলে আইনশৃঙ্খলা যেনো অবনতি না হয় এজন্য আমরা ১৪৪ ধারা জারি করেছি। ভূমি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষ এই জমি থেকে দূরে থাকবেন।