এসময় তাদের কাছ থেকে একটি একনালা বন্দুক, দুইটি রামদা, তিন রাউন্ড কার্তুজ, দুটি লোহার রড, একটি কাঠের ডিঙ্গি নৌকা, হাত পা বেঁধে রাখার কয়েক টুকরা লাইলনের রশি, একটি স্কচ টেপ ও দুটি টর্চ লঅইট এবং বিভিন্ন সাইজের লাঠি। বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক রবিবার দুপুরে এই তথ্য জানান। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-বাগেরহাট জেলার শরণখোলার মৃত মকবুল ফরাজীর ছেলে মোঃ মাসুম ফরাজী (৩৫), মোঃ আব্বাস কবিরাজের ছেলে মোঃ হাছান কবিরাজ (৩০) ও বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার মৃত আমির হোসেন হাওলাদারের ছেলে মোঃ আলমগীর হোসেন হাওলাদার (৫০)।
পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর বাগেরহাট ও খুলনা জেলার কয়েকজন জেলে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই, শরনখোলা ও জিউধারা ষ্টেশন থেকে পাসপারমিট নিয়ে মাছ এবং কাঁকড়া ধরতে যায়। এসময় কতিপয় জল বা বনদস্যুরা তাদের হামলা চালিয়ে ১৩ থেকে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ১১জন জেলেকে অপহরণ করে তাদের পরিবারের কাছে অর্থ দাবি করে। এ খবর পেয়ে পুলিশ দস্যুদের কবল থেকে তাদের উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত ওই জেলেদের তথ্য অনুযায়ী আবারও অভিযান চালালে রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরে তিন বনদস্যুকে আটক করে। আটক তিন দস্যুদের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় মামলা করা হয়েছে। ওসি (তদন্ত) বিকাশ চন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে এ মামলা করার পর তাদের আদালতের মাধ্যমে বাগেরহাট জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার আরিফুল হক জানান।