এর মধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে নিহতের সংখ্যা সাত। নিহতদের বেশিরভাগই কিশোর তরুন। গত মাসে স্কুল ছাত্র তাজবি নিহত হওয়ার পর হতে ব্যাপক প্রতিবাদ ও আন্দোলন হয় এসব যান চলাচলের বিরুদ্ধে।

নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরের সর্বত্র বেড়েছে অবৈধ পাওয়ার টিলার ট্রাক্টরের চলাচল। এসব পরিবহন একদিকে অনুমোদনহীন অন্যদিকে ঘাতক পরিবহন হিসেবে পরিচিত। লাইসেন্সবিহীন অপ্রাপ্ত বয়স্ক অদক্ষ চালকদের বেপরোয়া চলাচলে গত দু মাসে দুর্ঘটনা হয়েছে বিশটিরও বেশি। এর মধ্যে দুর্ঘটনাস্থলে নিহতের সংখ্যা সাত। নিহতদের বেশিরভাগই কিশোর তরুন।  গত মাসে স্কুল ছাত্র তাজবি নিহত হওয়ার পর হতে ব্যাপক প্রতিবাদ ও আন্দোলন হয় এসব যান চলাচলের বিরুদ্ধে। কিন্ত টনক নড়েনি প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্টদের। এরই মাঝে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়ে যায় ব্যাপকহারে।

অনুসন্ধ্যানে জানা যায় নেতৃস্থানীয়দের অনৈতিক যোগসাজশ ও অনুমতির কারণেই কোন কিছু তোয়াক্কা না করেই চলাচল করছে এসব ঘাতক যান। জনসাধারণের অব্যাহত প্রতিবাদ ও আন্দোলনের মুখে অবশেষে গতকাল ৭ মার্চ উপজেলা প্রশাসন হতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার ( ভুমি) অশোক বিক্রম।  আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করেন চরজব্বার থানা পুলিশ।অবৈধ ইটভাটায় মাটি সরবরাহ, কৃষিজমির টপসয়েল নষ্ট ও  অবৈধ জালানী কাঠ পরিবহনের দায়ে সড়ক পরিবহন আইনে পাঁচটি মামলায় পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। ঘাতক যান পাওয়ার টিলার ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ হওয়া পর্যন্ত  ভ্রাম্যমান আদালত চলমান থাকবে জানা যায়।