প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। শনিবার (২ মার্চ) সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। শনিবার (২ মার্চ) সকালে রাজশাহী সেনানিবাসে ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার একটি উন্নত ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার জন্য বদ্ধপরিকর। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সার্বিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উন্নত প্রযুক্তি, আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জামাদি সরবরাহে সচেষ্ট সরকার। এ জন্য সেনাবাহিনীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নতুন পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড, ইউনিট ও প্রশিক্ষণপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সেনা সদস্যদের সার্বিক দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য উন্নত প্রশিক্ষণ ও আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। ক্যাডেটদের মৌলিক প্রশিক্ষণ ও প্রাতিষ্ঠানিক মানোন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণের মেয়াদকাল বৃদ্ধি করা হয়েছে। যেখানে ক্যাডেটরা বিভিন্ন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করার সুযোগ পাচ্ছে। রিক্রুটদের উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন ফরমেশনে প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনী সব সময় জাতির গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত। পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ তদারকি, কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক প্রকল্প, হাতিরঝিল সমন্বিত প্রকল্প, বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মাণ, মহিপাল ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং থানচী-আলীকদম সড়ক নির্মাণ ইত্যাদি জাতীয় কার্যক্রমে সেনাদের অবদান অনস্বীকার্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের সদস্যরা নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ অর্পিত দায়িত্ব সফলতার সাথে পালনে সক্ষম হবে। কর্মজীবনে সকল ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব ও দক্ষতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখবে।’

তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় এবং বিভিন্ন বৈদেশিক মিশনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের আত্মত্যাগ, কর্তব্যনিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে দেশের জন্য সম্মান ও মর্যাদা বয়ে এনেছে। যা বহিঃর্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে অত্যন্ত উজ্জ্বল করেছে।

এর আগে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় কোর পুনর্মিলনীতে অংশ নিতে বেলা ১১টায় সেনানিবাসে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। রেজিমেন্টাল হেড কোয়ার্টারে তাকে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন অহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রবেশের পর বিভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে গঠিত কন্টিনজেন্টের পক্ষ থেকে সালাম জানানো হয়। প্যারেড কারে করে উপস্থিত কর্মকর্তাদের প্যারেড পরিদর্শন করেন সরকার প্রধান।